আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য।
শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার ঘোষণা করেন প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক ইকবাল কবীর।
তাদের ১৬ দফা অঙ্গীকারসমূহের মধ্যে রয়েছে, গেস্টরুম-গণরুমে ছাত্র নির্যাতন বন্ধ করে প্রথম বর্ষ থেকেই প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বৈধ সিটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, হল ও বিভাগগুলো কর্তৃক অবৈধ ফি আদায় ও সকল বাণিজ্যিক কোর্স বন্ধ করা, শিক্ষা-গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, ’৭৩ এর অধ্যাদেশের অসম্পূর্ণতা দূর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন-স্বাধীনতা নিশ্চিত করা,
বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ করা, প্রশাসনিক কার্যক্রমে হয়রানি ও জটিলতা বন্ধ করা, পরিবহন বাস ও রুটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে, মেডিকেল সেন্টারকে আধুনিকায়ন ও ১০০ শয্যায় উন্নীত করা, সকল একাডেমিক ভবনে সুলভ মূল্যে খাবার সংগ্রহে ক্যান্টিন চালু করা, পাঠদান পদ্ধতিকে বিজ্ঞান করা, ক্লাসে উপস্থিতির উপর মূল্যায়ন বন্ধ করা, শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা প্রভৃতি। এ সময় নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রগতিশীল ছাত্রজোটের প্যানেল মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হল কার্ডের বিকল্প দাবি ছাত্র ইউনিয়নের: ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে যারা প্রশাসনিক জটিলতার কারণে হল আইডি কার্ড নবায়ন করতে পারেনি, তাদের ফটো আইডি বা পে-ইন স্লিপ দেখিয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন।
শুক্রবার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ্ ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব দাস স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রশাসনিক জটিলতা ও হয়রানিতে যারা শেষ পর্যন্ত আইডি হালানাগাদের সুযোগ পায়নি তাদেরকেও ভোটের অধিকার দিতে হবে। যাদের নাম পূর্নাঙ্গ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে তাদেরকে যে কোনো ফটো আইডি অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকা জমা দেওয়ার রশিদ প্রদর্শনের মাধ্যমে ভোট প্রদানের সুযোগ দিতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট রাখার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো স্পষ্ট বক্তব্য প্রকাশ করেনি। ভোটের দিন সাংবাদিকদের উপস্থিতি কতখানি থাকবে এবং লাইভ করা যাবে কী না – এ নিয়েও প্রশাসনের কাছ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরী।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন