২৭ মে, ২০১৯ ১৮:০৮

চবির ‘আলোচিত’ কর্মচারী নিয়োগ অনিয়ম তদন্তে দুদক

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চবির ‘আলোচিত’ কর্মচারী নিয়োগ অনিয়ম তদন্তে দুদক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী মেয়াদের শেষ সময়ে এসে আলোচিত-সমালোচিত গণহারে কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত মঙ্গলবার (২১ মে) দুদকের বিভাগীয় পরিচালক মো. আবদুল করিমের স্বাক্ষরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়।

চবিতে ১৪২ জন কর্মচারী নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ কমিটির দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুদক। দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।   

এ ঘটনা তদন্তে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলমকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অপর সদস্য হলেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন। তাছাড়া তদারকির দায়িত্ব পালন করবেন দুদকের বিভাগীয় পরিচালক মো. আবদুল করিম।   

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘চবির কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ অনিয়ম তদন্তে দুদক কাজ শুরু করছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করব। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।’           

এ ব্যাপারে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে মোবাইল রিসিভ করে বলেন, ‘তিনি (চবি ভিসি) মোবাইল রেখে একটি ইফতার প্রোগ্রামে গেছেন। রাত ৮টার পরে পাবেন।’ 

দুদক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি চবিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১৪২ জন কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৯ তম সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়োগ চূড়ান্ত হলেও সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগপ্রাপ্তদের নাম উপস্থাপন করা হয়নি।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ জুন চবি উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। আগামী ১৫ জুন তার মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। তবে শেষ সময়ে এসে নিয়োগ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন উপাচার্য। তাছাড়া তিনি ফের উপাচার্য হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর