রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ডিজিটাল ফ্যাব্রিকেশন ল্যাবে (ফ্যাব ল্যাব) তৈরি হচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধে ফেইস শিল্ড। দেশের ক্রমশ এ ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে জরুরী পরিষেবা প্রদানকারী বিভিন্ন ক্ষেত্রে তো অবশ্যই বিশেষত চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রীর এ সংকটকালে আশার আলো দেখাচ্ছে এ ফ্যাব ল্যাব। এরইমধ্যে ফ্যাব ল্যাবটির তৈরি এ ফেস শিল্ড ব্যবহারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন করোনার সম্মুখ সমরের বহু চিকিৎসকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
ফ্যাব ল্যবের প্রশিক্ষক এনামুল আরেফিন ল্যাবটিতে স্বউদ্যোগে করোনাকালের চলমান এ পরিস্থিতিতে জীবাণুর সংক্রমন রোধে প্লাস্টিকের তৈরি পুনঃব্যবহারযোগ্য এ সুরক্ষা সামগ্রী প্রস্তুত করে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘কঠিন এ পরিস্থিতিতে জরুরী পরিষেবা প্রদানকারী ব্যক্তিরা সবসময়ই করোনা সংক্রমনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এক্ষেত্রে তারা ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) ব্যবহার করলেও গগল্স’র ফাঁকা জায়গাসহ মুখমন্ডলের কিছু অংশ অনাবৃত থাকে, যার মধ্যদিয়ে জীবাণু প্রবেশের সম্ভাবনা থেকেই যায়। এ অবস্থায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি বা কফের মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া ড্রপলেট থেকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা প্রদানের বিষয়টিকে মাথায় রেখেই ফেস শিল্ডের এ নকশা করা হয়েছে।’
উচ্চশিক্ষার গুণগতমান বর্ধিতকরণ প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত এ ল্যাবটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক শেকৃবি উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মো. সোলায়মান বলেন, ‘ল্যাবটিতে প্রধানত ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার, লেজার কাটার, সিএনসি রাউটার, ভিনিয়াল প্লটার ও পিসিবি মিলিং মেশিনসহ নানা যন্ত্রপাতি রয়েছে যার মাধ্যমে একটু কৌশলি হয়ে খুব সহজেই প্রয়োজনীয় অনেককিছুই তৈরি করা সম্ভব। করোনা পরিস্থিতির দেশের এ ক্রান্তিকালে ল্যাবটির অবদান আমার জন্য গর্বের।’
ড. সোলায়মান জানান, ‘এপর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের প্রায় শতাধিক চিকিৎসক এ ফেইস শিল্ড সংগ্রহ করেছেন। পাশাপাশি সম্প্রতি ব্র্যাক সোশ্যাল ইনোভেশন ল্যাব এবং শেকৃবি ফ্যাব ল্যাবের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সে অনুযায়ী তাদেরকে ২ হাজার ফেইস শিল্ড সরবরাহের কথা রয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল