৫ জুলাই, ২০২০ ২১:৫৪

জবিতে সাংস্কৃতিক সংগঠন সরিয়ে মেডিকেল সম্প্রসারণের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

জবিতে সাংস্কৃতিক সংগঠন সরিয়ে মেডিকেল সম্প্রসারণের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের ২য় ও ৩য় তলার সংগঠনসমূহের অফিস কক্ষ সরিয়ে মেডিকেল সেন্টার সম্প্রসারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। রবিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সকল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধিতে মেডিকেল সেন্টার সম্প্রসারণ ও একটি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরী স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু মেডিকেল সেন্টার ও ল্যাবরেটরি স্থাপনের জায়গা নির্ধারণে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তাতে আমাদের আপত্তি রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনে প্রায় অর্ধশত বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। যা সহশিক্ষা কার্যক্রমসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় সংকটে বৃহৎ ভূমিকা রেখে আসছে। এমতাবস্থায় ক্রিয়াশীল সংগঠনের অফিস কক্ষ উচ্ছেদ করে সেখানে মেডিকেল সেন্টার স্থাপনের কোন যৌক্তিকতা নেই। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এরুপ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে কোনো সংগঠনের সাথে বিন্দুমাত্র আলোচনা না করে প্রজ্ঞাপন জারির তৃতীয় দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও কোনো সংগঠনকে প্রজ্ঞাপনের কপি বা কোনো অফিসিয়াল নোটিশ না দিয়ে সংগঠনের কর্মীদের অনুপস্থিতিতে কক্ষ স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ দ্রুত শেষ করে বর্তমান মেডিকেল সেন্টারটির পাশে অবস্থিত প্রশাসনিক অফিস স্থানান্তর করে সেখানে মেডিকেল সেন্টার সম্প্রসারিত করা যেতে পারে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের বিভাগসমূহ নতুন ভবনে স্থানান্তর করে সেখানে মেডিকেল সেন্টারটি স্থানান্তর করা যেতে পারে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের উন্নয়ন ও সেবার মানও বৃদ্ধি পাবে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর