দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) মেডিকেল সেন্টার, রাস্তা ও মসজিদ সংস্কারের কাজ ধীরগতিতে চলছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ হাজারো শিক্ষার্থীরা।
প্রবেশদ্বার খ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক রাস্তার সাথে সংযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ (কৃষি অনুষদ), জিমনেসিয়াম, প্রকৌশল শাখা, রূপালী ব্যাংক (এটিএম), বোটানিক্যাল গার্ডেন, রিমা চত্বর, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাস্তার।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনের গাড়িসহ প্রধান ফটক রাস্তা দিয়ে বাস, ট্রাক ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। তবে প্রধান ফটক রাস্তার অর্ধেক অংশেই বালি, ইটের খোয়া এবং রাস্তার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুটি এখনো রয়েছে। এতে ওই রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
এদিকে, উন্নত চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাবিপ্রবি’র মেডিকেল সেন্টারের সম্প্রসারণ ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবায়নে গতি না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তাই বাস্তবায়নে মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, অর্থ সংকটে নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করতে না পারায় ধীরগতিতে এগুচ্ছে মেডিকেল সেন্টারের কাজ। তবে আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে বলে জানা যায়।
অপরদিকে, অনুমতি না থাকায় মসজিদ সংস্কারের কাজ বন্ধ আছে বলে জানা গেছে। মেয়াদ বাড়ানো এবং ব্যয়ের কিছু অপ্রাসঙ্গিক খাত তৈরি করায় এ প্রকল্পে ব্যয়ও বেড়েছে সমান হারে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যানিং, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়ার্কস বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজার রহমান জানান, রাস্তা আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ করতে চাইছেন বলে আমাকে জানানো হয়েছে। ঠিকাদারই দেরি করছে। তবে অর্থাভাব নেই বলে জানান তিনি। আগামী জুনের মধ্যে মেডিকেল সেন্টার প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মেডিকেল সেন্টারটিকে পাঁচ তলায় উন্নীত করার জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম এক তলার কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। এরপর বাজেট সাপেক্ষে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে। সম্প্রসারিত নতুন এই অংশ (প্রথম তলা) ১২ শয্যা বিশিষ্ট করা হবে। সম্প্রসারিত নতুন এই ভবনে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই