১ মার্চে হলে প্রবেশ করতে চায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এই ঘোষণা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
ঘোষণা শেষে ২৩ ফেব্রুয়ারি হল খোলা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সাথে ইউজিসির বৈঠক এবং আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের' স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচন উপলক্ষে দুই দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) যেহেতু হল খোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সাথে মিটিংয়ে বসবে। আমরা আশা করি মিটিংয়ে একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত আসবে। ইউজিসি যদি যৌক্তিক সিদ্ধান্তে এসে হল খুলে দেয়। তাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন থেকে সরে আসবো। আর যদি যৌক্তিক কোনও সিদ্ধান্ত না নেয় ইউজিসি তাহলে আমরা আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো। আর অবশ্যই আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো। আমরা পহেলা মার্চে হলে থাকতে চাই।
এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে খাইরুল ইসলাম দুখু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছি। আর করোনার কারণে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও অনেকটা নাজুক হয়ে গেছে। ফলে আর আমাদের মেসে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। একটু আগে আমাদের প্রক্টর স্যার আমাদেরকে আশ্বস্থ করেছেন এবং আমরা জানি আগামীকাল (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সাথে আলোচনায় বসবে। আমরা আশা করছি সেখানে তারা ফেব্রুয়ারির মধ্যে হল খোলার একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে।'
এর আগে ১১টায় হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এই আন্দোলন শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের স্লোগানে ক্যাম্পাস উত্তাল হলে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ