৯ এপ্রিল, ২০২১ ২২:৫৯

বাংলা নববর্ষ; করোনার প্রভাব মঙ্গল শোভাযাত্রাতেও

নাসিমুল হুদা, ঢাবি:

বাংলা নববর্ষ; করোনার প্রভাব মঙ্গল শোভাযাত্রাতেও

প্রতীকী ছবি

ক’দিন পরে শুরু হচ্ছে বাংলা পঞ্জির নতুন বছর। এ উপলক্ষে প্রতিবছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় চলে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের প্রস্তুতি। একদিকে চলে সুউচ্চ প্রতিকৃতি নির্মাণ, আর অন্যদিকে রং-বেরংয়ের মুখোশ-কারুকর্মের বিকিকিনি। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এবছরও দৃশ্যটা এমনই হতে পারতো। কিন্তু করোনার থাবা যেন খানিকটা রং ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বাঙালির প্রাণের নববর্ষ থেকে। তাইতো চারুকলার প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেলো পিনপিতন নিরবতা। 

বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতিতে এবছর অত্যন্ত সীমিত পরিসরে বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাত্র একশ’ জন নিয়ে এবছরের মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এনিয়ে বাড়তি কোনো প্রস্তুতি দেখা যায়নি চারুকলা প্রাঙ্গণে।  

গত বছরগুলোতে শোভাযাত্রায় প্রদর্শনের জন্য চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বাঘ, পেঁচা, ময়ুর প্রভৃতি প্রাণীর প্রতিকৃতি তৈরি করতেন। এছাড়াও বানানো হতো বিভিন্ন ধরনের মুখোশ। এসবেব প্রস্তুতি চলতো নববর্ষের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই। তবে এবছর সামান্য পরিসরে এসব কাজ করছেন চারুকলার অল্প সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী।  

বিগত বছরগুলোতে শোভাযাত্রা আয়োজনে কাজ করেছেন চারুকলার শিক্ষার্থী সংগ্রামী মোহন উচ্ছ্বাস। তিনি জানান, এবছর করোনার কারণে অনুষদের ভিতরে কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলে কাজ করছেন। তবে আগের মত বড় আয়োজনে নয়। এর বাহিরে, শুধু চারুকলার সীমানা প্রাচীরে আল্পনা আঁকা হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক আনন্দ নিয়ে এই কাজটি করতাম। গত বছর থেকে সেই অনুভূতি বঞ্চিত হচ্ছি। 

উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল সভায় সীমিত আয়োজনে নববর্ষ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এর আগের বছরগুলোতে শোভাযাত্রা শাহবাগ-টিএসসি প্রদক্ষিণ করলেও এবছর শুধু চারুকলাতে সীমাবদ্ধ থাকবে। এমনকি অনুষ্ঠানে সশরীরে না আসা এবং এ উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে কোনো মেলা বা ভ্রাম্যমাণ দোকান না বসাতে অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘরে বসে উপভোগের লক্ষ্যে এ বছর টেলিভিশন চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে তারা। 

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘করোনা সংক্রমণ বাড়াতে সীমিত আকারে নববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে। আশা করছি, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে তা পালন করা সম্ভব হবে।’  শোভাযাত্রায় প্রতিকৃতি বা মুখোশের মত অনুসঙ্গগুলোও সীমিত পরিসরে থাকবে বলে জানান তিনি। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর