করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এবং পরিবহন ফি নেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এছাড়াও ‘প্রশাসনিক শৈথিল্য’ পরিহার করে শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যে আয়োজিত এক ছাত্র সামবেশে এমন দাবি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। সমাবেশ থেকে মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্লান বাস্তবায়নের রোডম্যাপ প্রণয়ন, মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন ও কোভিড-১৯ চিকিৎসার সুব্যবস্থার দাবিও জানানো হয়।
এসময় সাদ্দাম হোসেন বলেন, করোনা মহামারীর কারণে প্রায় ১৫ মাস যাবত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা ফরম ফিল-আপ করতে আসছেন। কিন্তু প্রত্যেক হলে চার’শ থেকে পনের’শ টাকা করে আবাসিক ফি নেওয়া বন্ধ করেনি। সরকার ৬৯ হাজার গৃহহীনকে তাদের ঘরের চাবি তুলে দিয়েছেন। আমরা আশা করবো, সরকারের নৈতিক অবস্থানকে সমর্থন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবাসিক ফি প্রত্যাহার করবে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পরিবহন ব্যবহার না করলেও তাদের এক হাজার ৮০ টাকা করে পরিবহন ফি দিতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ধিক্কার, আপনারা অভিভাবকসুলভ আচরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অনতিবিলম্বে পরিবহন এবং আবাসিক ফি নেয়া বন্ধ করবেন যেন নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে তাদের শিক্ষা পরিচালনা করতে পারে। আপনারা যদি এসব ফি নেয়া বন্ধ না করেন তাহলে মনে করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নৈতিকতা রং রুটে(ভুল পথে) চলে গেছে।
সমাবেশে সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাদকসেবী এবং দুর্নীতিবাজদের আশ্রয় কেন্দ্র হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহবান, আপনারা আপনাদের প্রক্টরিয়াল টিম, পুলিশ বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাদের সাথে সমন্বয় করে ক্যাম্পাসের যেখানে যেখানে মাদকসেবন হয সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। কোথায় মাদকসেবন হয় আপনারা যদি তা না জানেন তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে খোঁজ নেন। আমরা আপনাদের খোঁজ দিব।
সনজিত আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের যে ভ্যাকসিন এনে দিয়েছেন আপনারা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করে ঢাবির আবাসিক হলসহ সকল পাবিলক বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দিন। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের আধুনাকয়ন এবং সকল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিমার আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান। সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন