বিশেষ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আশ্বাসে নীলক্ষত মোড়ের অবরোধ তুলে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নীলক্ষত মোড় ছেড়ে যান তারা। এর জন্য কর্তৃপক্ষকে দুই দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, সাত কলেজের বিভিন্ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ‘গণহারে অকৃতকার্য’ হওয়ার খবর জানা যায়। ওই পরীক্ষার ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে রবিবার বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে কলেজেগুলোর শিক্ষার্থীরা। এসময় পুনর্মূল্যায়ন সম্ভব না হলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিশেষ পরীক্ষা এবং ফলাফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণার কথাও বলেন তারা। পরে বিশেষ পরীক্ষার আশ্বাস পাওয়ার পর দুপুর আড়াইটার দিকে নীলক্ষত মোড় ছেড়ে যায় তারা।
দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলতে দুপুরের দিকে সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. আই কে সেলিমুল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল। তিনি অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পরীক্ষা আয়োজনের আশ্বাস দেন। তার আশ্বাসের ভিত্তিতে পরে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
প্রতিনিধিদলের একজন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, স্যার বিশেষ পরীক্ষার ব্যাপারে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বিভাগীয় চেয়্যারম্যান স্যারদের সাথে আলোচনা করে পরীক্ষার তারিখ জানানোর কথা বলেছেন। আমরা এজন্য দুই দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে। তার আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি। দুইদিন পর ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়া না গেলে আমরা আবারও আন্দোলনে ফিরবো।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, কিছুদিন আগে করোনা পরিস্থিতির অজুহাত দিয়ে চতুর্থ বর্ষে শর্ট রুটিনে হল না খুলেই তাদের পরীক্ষা নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সব কোর্সের ক্লাস সম্পন্ন না হওয়া সত্ত্বেও সিলেবাস না কমিয়ে নতুন মানবন্টনে চার ঘণ্টার পরীক্ষা দুই ঘণ্টায় নেওয়া হয়। ওই পরীক্ষার ফলাফলে ইংরেজী বিভাগে সাতটি কলেজেই গণহারে ফেল এসেছে।
শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যমতে, ইডেন কলেজে ইংরেজি বিভাগে ২১০ জনের মধ্যে ১৭৫ জন, তিতুমীর কলেজে ২৪১ জনের মধ্যে ১৯৩ জন, সরকারি বাংলা কলেজে ১১৬ জনের মধ্যে ৯২ জন অকৃতকার্য হয়েছে। বাকি চার কলেজেও একই অবস্থার কথা বলছেন তারা। অন্য বিভাগগুলোতেও কমবেশি একইভাবে অকৃতকার্য হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই