১৫ অক্টোবর, ২০২১ ২০:৩১

ছাদ ধসে নিহতদের স্মরণে ঢাবিতে শোক দিবস পালিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ছাদ ধসে নিহতদের স্মরণে ঢাবিতে শোক দিবস পালিত

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৮৫ সালের এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে তৎকালীন ‘পরিষদ ভবনে’র টিভিরুমের ছাদ ধ্বসে নিহতদের স্মরণে দিবসটি পালন করা হয়। সেদিনের ওই ঘটনায় অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও অতিথির মৃত্যু হয়েছিলেন। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটায় জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করেন তারা। পরে একে একে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ হল, অমর একুশে হল, বিজয় একাত্তর হল, সুর্যসেন হল, সুফিয়া কামাল হলসহ অন্যান্য হলসমূহ, এ্যালামনাই এসোসিয়েশন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমিতি এবং ছাত্রলীগসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। 

এরপর হলের অক্টোবর স্মৃতি মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, রেজিস্টার প্রবীর কুমার সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালামনাই এসোসিয়েশন, কর্মকতা-কর্মচারী ও কারিগরী সমিতির নেতৃবৃন্দ।  

সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ১৯৮৫ সালের ওই এই ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা পাই,  দায়িত্বহীনতা কখনও যেন না ঘটে। আমরা যেন দায়িত্বশীল থাকি। ওই দিন সব ধর্ম-গোত্রের মানুষ যেভাবে মানবতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মানবিক সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন, এই ধরনের মূল্যবোধ যেন ভবিষতেও ধারণ করতে পারি। 

ঘটনার দিন সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিলো বলে উল্লেখ করেন উপাচার্য । তিনি বলেন, প্রশাসন এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এসএম হলের বারান্দা ব্যবহার করা যাবে না। দায়িত্বশীল সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রেখে সেটি প্রতিপালন করাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি শুধু একটি বিধ্বস্ত ভবনের বিষয় নয়।

উপাচার্য বলেন, গণরুমে একই কক্ষে যখন অনেক শিক্ষার্থী থাকে, জীবন-যাত্রার মান অত্যন্ত নিম্ন হয়ে পড়ে, তখন সেখানে ‘বায়ো-হাজার্ড’ ঘটে। ‘বায়ো-হাজার্ড’ থেকেও অনেক বড় দুর্ঘটনা হতে পারে। সেটিও তো জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট। এটি প্রতিরোধে হল প্রশাসন প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য।

শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবন, সকল হল ও হোস্টেলে কালো পতাকা উত্তোলন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। এছাড়াও নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে সকাল জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভা এবং বাদ আছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআ’সহ সকল হল মসজিদে দোয়া করা হয়।  

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর