মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। এসময় তার সাথে ছিলেন জাতিসংঘের ঢাকাস্থ মিশন প্রধান মিয়া সেপো, ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান এবং ঢাকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রধান জয়েন্দু ডি। শুক্রবার ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহ তাঁরা পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখেন।
পাথওয়ে টু জেনোসাইড (ওয়াকিং মিউজিয়াম-চলমান জাদুঘর) -এর আওতাধীন এ কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ। কর্মসূচির শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বটতলা থেকে, যেখানে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ স্বাধীনতার পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়েছিল। এরপর পায়ে হেঁটে তাঁরা ১৯৫ জন শহীদ ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মচারীর তালিকা সংবলিত স্মৃতি চিরন্তন, বিট্রিশ কাউন্সিল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জগন্নাথ হল, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের জনসভাস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ শিক্ষকদের সমাধিস্থল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থল, ডাকসু সংগ্রহশালা পরিদর্শন করেন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ঘটনা শোনেন। পরে মধুর ক্যান্টিনে কিছু সময় কাটান তারা।
ওয়াকিং মিউজিয়াম কর্মসূচিতে কূটনীতিকদের মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত এবং সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। এর আগে, সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের কার্যালয় পরিদর্শন এবং এর কার্যাবলি সম্পর্কে অবহিত হন কূটনীতিকবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল