বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ের দিকে নিজেদের অ্যাটেনশন (মনোযোগ) নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ‘যে সব প্যারামিটার (সূচক) দিয়ে র্যাংকিং করা হয় সেগুলোর নিরসন না ঘটিয়ে, সেগুলোর যথাযথ প্রতিফলন না করিয়ে র্যাংকিংয়ের প্রত্যাশা করা খুবই দুরূহ’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন তিনি। সম্প্রতি র্যাংকিংকারী প্রতিষ্ঠান কোয়াককোয়ারেলি সাইমন্ডস-কিউএস প্রকাশিত সেরা ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান না পাওয়ায় সমালোচনা শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে র্যাংকিংয়ের যে প্যারামিটারগুলো আছে, গবেষণা, বিদেশি শিক্ষার্থী, বিদেশি শিক্ষক, শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের জীবনমান সেগুলো আমাদের এখন আ্যড্রেস (পদক্ষেপ গ্রহণ) করা খুব জরুরি। এসব সূচকের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ করতে পারলে তখনই মূলত আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের প্রত্যাশার জায়গাটা আরও স্পষ্ট হবে।
ঘ-ইউনিটের পরীক্ষা প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘সর্বোচ্চ নিরাপত্তার সঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকেও আমরা খবর পেয়েছি, তারা কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই যথাযথভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করছেন। আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেছি। প্রশ্নপত্রের মান ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, ‘ঘ’ ইউনিটের সমন্বয়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের বিভাগীয় শহরের আট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ৩৩৬টি। এর বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন ৭৮ হাজার ৪৫ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে আসনপ্রতি লড়েছেন প্রায় ৫৮ জন করে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা