২৪ জুন, ২০২২ ১১:০০

মাঝরাতে ছাত্রলীগের কিল-ঘুষি, রাবি ছাত্রকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ!

রাবি প্রতিনিধি

মাঝরাতে ছাত্রলীগের কিল-ঘুষি, রাবি ছাত্রকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ!

প্রতীকী ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে মাঝরাতে ছাত্রকে কিল-ঘুষি মেরে বের হয়ে যেতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। 

শুক্রবার প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল লতিফ হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী এই অভিযোগ তোলেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মুন্না ইসলাম। তিনি আব্দুল লতিফ হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। অভিযুক্তরা হলেন, আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম এবং তার অনুসারী পারভেজ ও তওহীদ। 

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, রাত ২টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা শামীমের কিছু অনুসারী ২৪৮ নম্বর কক্ষে এসে তাকে বের হয়ে যেতে বলেন। যেতে না চাইলে তারা জোর করে বিছানাপত্র ও অন্য জিনিসপত্র বাইরে ছুড়ে মারেন। তারপরেও বের না হয়ে বিছানার উপর বসে পড়লে পারভেজ ও তওহীদ দু’জন খুব বাজে ব্যবহার করা শুরু করেন।  তারপর তওহীদ নামের ছেলেটি ঘাড় চেপে ধরে টানতে টানতে ওই ছাত্রকে দরজার কাছে নিয়ে পিঠে দুইটা কিল বসিয়ে দেন।

ভুক্তভোগী মুন্না ইসলাম বলেন, গত পাঁচ মাস যাবৎ এখানে আমি আছি। আবাসিকতার কার্ড-ও আছে। অথচ মাঝরাতে এভাবে কক্ষে ঢুকে একজন আবাসিক ছাত্রকে কিল-ঘুষি মেরে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি জোরপূর্বক সিট দখল করছে ছাত্রলীগের ওই নেতারা। এমতাবস্থায় প্রশাসনের নিকট নিরাপত্তা চেয়েছেন এই শিক্ষার্থী। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম জানান, মুন্না নামের ছেলেটা ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ সেশনের কোনও শিক্ষার্থী হলে উঠতে পারবে না। কিন্তু তার পারিবারিক সমস্যা বিবেচনা করে প্রাধ্যক্ষ সিট বরাদ্দ দিয়েছেন। অন্য আরেকজন সিনিয়র শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মীও বরাদ্দপ্রাপ্ত। তাই তাকে সিট ছেড়ে অন্য রুমে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু সে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। তাকে কোনও ধরনের মারধর কিংবা কিল-ঘুষি মারা হয়নি বলে দাবি করেন এই ছাত্রলীগ নেতা।

এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, রাতের ওই বিষয়ে কিছুটা জেনেছি। তাকে সেই কক্ষেই থাকতে বলেছি। সে আবাসিক শিক্ষার্থী, তার সেই কক্ষে থাকার অধিকার রয়েছে। 

মারধরের বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে মারধর করা হয়েছে এমন অভিযোগ পাইনি। যদি এমন ঘটনা ঘটে, তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১০ দিনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দেওয়াসহ অবৈধভাবে সিট দখল করতে হল গেটে তালা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। হলে ছাত্রলীগের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক প্রাধ্যক্ষ। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনও কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় হতাশ অনেকে।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর