বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেছেন, আমাদের সচেতন থাকতে হবে। যৌন নির্যাতন বিষয়ক সেমিনার, গোল টেবিল বৈঠক এবং সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান বেশি বেশি করা দরকার। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম চালাতে হবে।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উচ্চ আদালত কর্তৃক নির্দেশিত যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবু তাহের বলেন, গতমাসেও আমাদের রপ্তানি আয় বেড়েছে। চলমান সকল সংকট কাটিয়ে সামনে জাতীয় বাজেটের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম বলেন, যৌন নির্যাতনের বিষয়ে জিরো টলারেন্সে জাবি প্রশাসন। আগেও আমরা এই বিষয়ে তৎপর ছিলাম, এখনো আছি। যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটিকে আর্থিক বরাদ্দের বিষয়টি আমি বিবেচনায় রাখবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আক্তার বলেন, যৌন নির্যাতন বিষয়টি পারস্পরিক। ছেলে মেয়ে উভয়ের দিক থেকে হতে পারে। দুই দিক থেকে আমাদের বিবেচনা রাখতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই বিষয়ে খুবই আন্তরিক। কেউ যেন যৌন নির্যাতনের শিকার না হয়, সেজন্য আমাদের কার্যক্রমে চলমান রয়েছে।
যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. জেবঊননেছা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রথম এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ জাবিতে প্রথম এই কমিটির নিজস্ব দপ্তর উদ্বোধন হলো। এই বিষয়টি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে সফলতার আরও একটি ধাপকে যুক্ত করলো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ করতে একটি নিজস্ব দপ্তর স্থাপন করায় আমি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যৌন নিপীড়ন অভিযোগ কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোবায়দা নাসরীন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটি গঠিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই