ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। এতে উভয় গ্রুপের ৩০জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে শনিবার রাত ২টা পর্যন্ত ২৪জনকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ।
রাতে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয় তারা হলেন, লাবীব (২৫), টিমন ঘোষ (২৬), সাদিক (২৩), ইসমাইল (২৫), রায়হান (২৩), সৌমিক (২৫), সানি (২৫), মোর্শেদ (২৫), কামরুজ্জামান (২৫), সজিব (২৪), সোহাগ (২৫), সাব্বির (২৫), শরিফ ফকির (২৫), নাফিজ (২৫), আশিক (২৩), রাসেল (২৩), ওয়াকিল (২৩), সালেহ আহম্মেদ (২৫), প্রিয় (২২), আশিক (২২), রিপন (২৪), আরিফ (২২), ইয়ালিত (২২) ও রিয়াজ (২৪)।
হাবিপ্রবি বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার বিকেলে এক ছাত্রের ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে কয়েকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাসের আবাসিক হলগুলো। শিক্ষার্থীরা হলের সামনে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার পর হলের ছাত্ররা দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে যায়। রাত ১০টা পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের শিক্ষার্থীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। হামলায় দুইজন গুরুতরসহ ২৪জনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় খবর পেয়ে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড.মামুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তিনটি আবাসিক হলের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বর্তমানে ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে এবং এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন