জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের তিনটি মোবাইল ফোন নিরাপদে রাখার কথা বলে তা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অজ্ঞাত এক যুবকের বিরুদ্ধে।
রবিবার (১৮ জুন) 'সি' ইউনিটের চতুর্থ শিফটের পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের ১২৯ ও ১৩৫ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, সি ইউনিটের কলা ও মানবিকী অনুষদের ছাত্রীদের চতুর্থ শিফটের পরীক্ষা শুরু হয় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে। দুপুরের খাবারের বিরতি থাকায় পরীক্ষার্থীদের দুপুর ১ টা ১০ মিনিটেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়৷ কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করা পরীক্ষার্থীরা কক্ষেই নাম রোল লিখে টেবিলের উপর মোবাইল রাখেন। তবে পরীক্ষা শুরুর পূর্বে ২৫-৩০ বছর বয়স্ক অজ্ঞাত এক যুবক পরীক্ষার্থীদের যাদের কাছে মোবাইল ফোন আছে, সেগুলো জমা দিতে বলেন। এসময় ওই যুবক নিরাপদে মোবাইল রাখার আশ্বাস দেন পরীক্ষার্থীদের। পরীক্ষার্থীরা সরল বিশ্বাসে তার কাছে জমা দিলে তিনটি মোবাইল নিয়ে মুহূর্তেই লাপাত্তা হয়ে যায় ওই যুবক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী সামিয়া সুলতানা বলেন, আমি ঢাকার শান্তিবাগ থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছি। আমার পরীক্ষা ছিল চতুর্থ শিফটে সমাজবিজ্ঞান ভবনের ১২৯ নং রুমে৷ পরীক্ষা শুরুর আগেই তরুণ বয়সী এক লোক রুমে এসে ফোন জমা দিতে বলে৷ পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের বাইরে থেকে ফোন নিয়ে যাওয়ার জন্য আশ্বস্ত করে। পরীক্ষা শেষে বাইরে এসে আমরা তার দেখা পাইনি।'
আরেক ভুক্তভোগী আজমেরী রুমানা বলেন, 'লোকটির পরনে ছিল সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট। ফরমাল পোশাকে পরিপাটি হয়ে থাকায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা বলেই মনে হয়েছে৷ আমরা বিশ্বাস করে তার কাছে ফোন জমা দিয়েছি। এভাবে মোবাইল নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাবে ভাবিনি।'
এদিকে এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সমাজবিজ্ঞান কেন্দ্রের সমন্বয়ক সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল মাননান।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করাই নিয়ম বহির্ভূত কাজ। আমরা বারবার মোবাইল নিয়ে আসতে নিষেধ করি। তারপরও যেহেতু পরীক্ষাকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে তাই আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এটি শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। এখনো এটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এটা কি বাইরের লোক করেছে নাকি ক্যাম্পাসের কেউ করেছে সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না।'
বিডি প্রতিদিন/হিমেল