ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হওয়া চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্র ও শেরে বাংলা হল ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী মহিবুল মমিন সনেট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের ছাত্র ও ছাত্রলীগকর্মী শাকোয়ান সিদ্দিক প্রাঙ্গণ এবং সদ্য জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়া পপুলেশন সায়েন্সেস এন্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগে ছাত্র আহসান হাবীব।
আদেশে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ সেশনে রাবির ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করে ভর্তি হওয়ায় আহসান হাবীবের ভর্তি বাতিল এবং অর্থের বিনিময়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সহায়তা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৭ আগস্ট ভর্তি জালিয়াতির মাধ্যমে পপুলেশন সায়েন্সেস এন্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগে ভর্তি হন আহসান হাবীব। ভর্তি সম্পন্ন করার পর আহসানকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ তোলে তার পরিবার। ঘটনার অনুসন্ধান করে জানা যায়, আহসান প্রক্সি জালিয়াতি করে ভর্তি হয়েছে। এটার বিনিময়ে প্রাঙ্গণের সঙ্গে চার লক্ষ ৮০ হাজার টাকা চুক্তি করেন তিনি। টাকা পরিশোধ না করায় তাকে অপহরণ করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তন্ময় ও প্রাঙ্গণ। অপহরণে যুক্ত ছিলেন সনেট ও রাজু। এ ঘটনায় ১৮ আগস্ট নগরীর মতিহার থানায় দুটি মামলা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হন ছাত্রলীগের এই নেতাকর্মীরা। এই মামলায় অভিযুক্তদের পুলিশ খুঁজছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রক্সি জালিয়াতি অন্যতম হোতা শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়। ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে নগরীর তিন থানায় ছয়টি মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক। সর্বশেষ গত ১৮ আগস্ট অপহরণ ও ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগ দুটি মামলা হয়। পলিশ বলছে, যেকোন সময় তাকে গ্রেফতার করা হবে। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ জনের মধ্যে চার জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তন্ময়কে বহিষ্কার না করায় প্রশ্ন ওঠেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম জানান, এই মামলায় অভিযুক্ত তন্ময় বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। তার পড়াশোনা শেষ হয়েছে। মামলার তদন্তে কোন অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত