জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ নিসতার জাহান কবীরকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থী সাঈদুল ইসলাম সাঈদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি পদসহ সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জবি প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ মশিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিসতার জাহান কবিরের সঙ্গে অসদাচরণ এবং হুমকি প্রদানের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সাঈদুর ইসলাম সাঈদকে ডিবেটিং সোসাইটির সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
অন্য অফিস আদেশে বলা হয়, সাঈদের বিরুদ্ধে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন প্রদানের জন্য ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. অশোক কুমার সাহা, সদস্য হিসেবে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার হেদায়েতুল ইসলাম তুর্কিকে মনোনীত করা হয়েছে।
এদিকে, হুমকি দেওয়ায় ঘটনায় সাঈদুল ইসলাম সাঈদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সাঈদুল ইসলাম কর্তৃক অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিসতার জাহান কবীরকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অত্যন্ত মর্মাহত ও ব্যথিত। অধ্যাপক ড. নিসতার জাহান কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব শেষে বাড়ি ফেরার জন্য গাড়ির অপেক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য চত্বরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। জানা গেছে, পছন্দের প্রার্থীকে জবি ডিবেটিং সোসাইটির সদস্য হিসেবে মনোনয়ন না দেওয়ায় সাঈদুল ইসলাম সাঈদ অধ্যাপক নিসতার জাহানকে পথ আটকে রেখে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় শিক্ষক সমিতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একই সঙ্গে সাঈদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সমিতি জোর দাবি জানাচ্ছে।
এর আগে, বুধবার সাঈদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষকরা উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। বিচার চেয়ে পৃথক লিখিত অভিযোগ জানায় বিভাগটির শিক্ষার্থীরাও। এ ছাড়া সাঈদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনেরও ডাক দেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে মানববন্ধন স্থগিত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই