আবারও লাঠিসোঁটা, রামদাসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় তারা তিন বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসি কর্মী ফাহিমকে মারধরের জের ধরে মূলত আজ শুক্রবার সংঘর্ষে জড়ায় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা।
বিবদমান উপগ্রুপ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও অপরপক্ষ সিক্সটি নাইন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের সংঘর্ষের ঘটনা পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। তবে দুই পক্ষের উত্তেজনা কমেনি। আজ বিকেল চারটায় সিএফসির কয়েকজন কর্মী স্টেশন এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ এলাকায় যেতে হলে শাহজালাল হলের সামনে দিয়ে যেতে হয়। শাহজালাল হলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সিক্সটি নাইনের। এ সময় সিএফসির কর্মীদের ধাওয়া দেন সিক্সটি নাইনের কর্মীরা। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সিএফসির নেতা সাদাফ খান বলেন, গতকাল আমাদের ছোট ভাই ফাহিমকে কোনো কারণ ছাড়াই স্টেশন তলায় তারা মারধর করে। আমরা গতকাল আলোচনার মাধ্যমে এটার সমাধান করার চেষ্টা করেছি। আজও ওরা জুমার নামাজ শেষে বিনা উসকানিতে আমাদের জুনিয়রদের ধাওয়া করে। এর কারণে এখন ঝামেলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন বলেন, আজকের অবস্থা খারাপ। প্রথমে শাহ আমানত ও শাহজালাল হলের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে তাদের আমরা শান্ত করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবারও অতর্কিত সংঘর্ষে জড়ায় উভয় পক্ষ। আমরা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত