রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আসন্ন গভর্নিং বডির নির্বাচনের ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে তা সংশোধনের দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আজীবন দাতা সদস্য মো. কাজী তৌহিদুজ্জামান। এছাড়া ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগকারী তৌহিদুজ্জামান গভর্নিং বডির দাতা ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
সম্প্রতি অধ্যক্ষ বরাবর দেওয়া চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে একটি দাতা ভোটার তালিকা লাগানো হয়েছে। এই ‘ত্রুটিযুক্ত’ ভোটার তালিকাটি আমাদের হতাশ করেছে। কারণ ২০০৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই দুই যুগ অবধি যতোবার ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে ততোবারই আমরা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। ২০২১ সালে আমি দাতা সদস্য পদের জন্য নির্বাচনও করেছি।
২০০৯ সালের পরেও যতো বার দাতা ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে ততোবারই আমরা দাতা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। তাহলে ২০২৪ সালের ভোটার তালিকায় কোন আইনে বাদ দেয়া হলো? আমরা যারা গভর্নিং বডি নির্বাচন-২০২৪ এর ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণের জন্য ছবি ও এনআইডি কার্ডসহ ভোটার তথ্য ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছিলাম তারা দাতা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বৈধ ও ত্রুটি মুক্ত দাতা ভোটার তালিকা প্রণয়নের দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত গভর্নিং বডি বিধিমালার ধারা ২(বি) তে ডোনার ও ২(সি) তে ফাউন্ডার এবং প্রদেয় টাকার পরিমাণও ভিন্ন ভিন্ন। পরে গভর্নিং বডি সংক্রান্ত রেগুলেশন সংশোধন করে গভর্নিং বডিতে দাতা হওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রদেয় টাকার পরিমাণ ৫০০০ টাকা এবং প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রদেয় টাকার পরিমাণ ৫০,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
অভিযোগকারী তৌহিদুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি দাতা সদস্য। কিন্তু আমাকে প্রতিষ্ঠাতা ধরে বিধিমালার কথা বলে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি দাতা, প্রতিষ্ঠাতা নই। তাই বিধির কথা বলে আমাকে বাদ দেয়া অন্যায়।
কিন্তু প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা না দেওয়ায় আমাকে তালিকায় রাখা হয়নি।
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এমাম হোসাইন বলেন, বিধিমালার শর্ত পূরণ না করায় অভিযোগকারীকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত