কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত রাজধানী পুরান ঢাকার সরকারি কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনসহ শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ সাত নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেন নিহত কলেজছাত্রের মা কুলছুমা আক্তার। এ সময় আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে সূত্রাপুর থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
হত্যা মামলায় বাকি আসামিরা হলেন-জবি ছাত্রলীগের ১ নম্বর সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম সানিম, সহ-সভাপতি আবুল হোসেন পরাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত সাঈদ ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম।
এ ছাড়া জবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলামের ভাই ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক পুলিশ উপপরিদর্শক নাহিদুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ৪৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক, কাউন্সিলর আরিফুর রহমান ছোটন প্রমুখ।
এ ছাড়াও মামলায় ৫০ নম্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ আরও অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৯ জুলাই কবি নজরুল সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ওমর ফারুক কলেজের মূল গেটের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এ সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা ওমর ফারুকের বুকে ও পিঠে একাধিক গুলি করে। হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই