রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়েছে। পিঠা-পুলির আমেজ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়েও ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করা হয়। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের আয়োজনে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।
উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন, নবান্ন উৎসব বাঙালির গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। যুগ যুগ ধরে এই সংস্কৃতি চলে আসছে। কৃষি অনুষদ বরাবরই সেই ধারাবাহিকতা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। যা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাজে এই ইতিহাস ও ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রাখতে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহা. মাঈন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
'নতুন ধানে নবান্ন সবার ঘরে আনন্দ' প্রতিপাদ্যে নবান্ন উৎসব-১৪৩১ উদযাপিত হয়। এই উৎসব উপলক্ষে বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিঠা তৈরি করেন এবং স্টল দেন। কৃষি অনুষদে ১০টি স্টলে দুধপুলি, চন্দ্র পুলি, তেল পিঠা, নকশী পিঠা, পাটি সাপটা, লবঙ্গ লতিকা, গাজরের হালুয়া, রস মলাইসহ শতাধিক পদের পিঠা বিক্রি হয়। উৎসবের অংশ হিসেবে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ছিল।
শিক্ষার্থীরা বলেন, নবান্ন বাংলাদেশের কৃষি সংস্কৃতির প্রাণবন্ত প্রতিচ্ছবি। হেমন্তের এই ধান কেটে কৃষকের মুখে হাসি ফোটে। পিঠাপুলির আমেজে কৃষি প্রধান গ্রামবাংলায় আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতেই ইট-পাথরের শহরে এই আয়োজন করা হয়।
বিভাগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাব ও অপসংস্কৃতি প্রভাব থেকে বেরিয়ে বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য লালন করতেই এই উৎসব উদযাপিত হয়। নবান্ন বাঙালি সংস্কৃতির গভীর শিকড়ে প্রোথিত। একটি আনন্দঘন অধ্যায় কার্তিক মাসের দুঃসহ অভাব পেরিয়ে অগ্রহায়ণের ঋতুসন্ধি আমাদের জীবনে মাধুর্য ও প্রাচুর্যের বার্তা বয়ে আনে। এটাই এই উৎসবের মূল সুর।'
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল