ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচির মৃত্যুর ঘটনায় ‘জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম বর্ষের (৫৩ ব্যাচের) শিক্ষার্থীরা।
ইতোমধ্যে তারা ৮ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ সবগুলো ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেছেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে গেইটগুলোতে মিছিল নিয়ে গিয়ে তালা লাগানো শুরু করেন তারা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তারা অবস্থান নিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার করা; পর্যাপ্ত সড়কবাতি, ফুটপাথ ও গতিরোধক স্থাপন করতে হবে এবং যানবাহনে গতি পরিমাপক রাখা; নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া; মেডিকেল সেন্টারের জরুরি সেবার মানোন্নয়ন করা; নিবন্ধনহীন সব যানবাহন ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা ও নিবন্ধন প্রদানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে; সব রিকশাচালকের প্রশিক্ষণপূর্বক নিবন্ধন নিশ্চিত করা; অদক্ষ নিরাপত্তাকর্মীদের প্রত্যাহার করা ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল মিলন বলেন, আমাদের ব্যাচমেট আফসারা রাচির এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে আমরা ৫৩তম ব্যাচসহ জাবির সকল শিক্ষার্থী গভীরভাবে শোকাহত। এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় এক মেধাবী তরুণীর অকালে ঝরে যাওয়া কখনোই কাম্য নয়। আজ রাচি, কাল হয়তো অন্য কারোর সাথে এমনটা হতে পারে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, দুষ্কৃতকারীকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনুন এবং আমাদের সবগুলো দাবি বাস্তবায়ন করুন। প্রশাসন ব্যবস্থাকে আরো মজবুত করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কোন মেধাবীকে এরকম দুর্ঘটনার শিকার হতে না হয়।
এসময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তবে দাবিগুলো যৌক্তিক ও তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম। এর জন্য মোটরচালিত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও ক্যাম্পাসেও শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ