জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সকাল আটটা থেকে চলমান গণঅনশনে কর্মসূচিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ১৪ শিক্ষার্থী।
রবিবার রাত পৌনে ১২ টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ খবর পাওয়া যায়।
অসুস্থ হওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। তারা হলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান তানজিল, দর্শন বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাওহীদুল ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১৫ ব্যাচের ফয়সাল মুরাদ, ১৩ ব্যাচের উদ্ভিদবিজ্ঞানের বিভাগ একেএম রাকিব, ১৮ ব্যাচের ইসলামি আন্দোলনের আশিকুর রহমান, জুবায়ের রিওন, শের আলী ও সোহাগ আহমেদ।
এ বিষয়ে মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র অফিসার মো. রাকিব হোসেন বলেন, তানজিলের ব্লাড প্রেসার কমে গিয়েছে। দুপুরের পর থেকে প্রস্রাবও হয়নি। অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীর শরীরে পানিশূন্যতাও দেখা দিয়েছে। এ মুহূর্তে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে। তাঁকে স্যালাইন লাগিয়ে রাখা হয়েছে।
মেডিকেল অফিসার রাকিব আরও বলেন, তাওহীদের ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেছে, আপাতত এখন স্যালাইন দিবো না। আর ফয়সালের চোখ দেবে গিয়েছে। স্যালাইন দিতে হবে।
এদিকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে গুরুতর অবস্থায় ন্যাশনাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে রাত ১১ টায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া একজনকে ইসলামি ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে বেডে থেকে অসুস্থ অবস্থায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, প্রয়োজনে আমার মৃত্যু হবে তারপরও আমি অনশন চালিয়ে যাব। আপনারা আমার কথা না ভেবে দাবি আদায়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান। আমরা কেউ হাল ছাড়ব না।
এর আগে রাত সাড়ে আটটায় গণ অনশনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে অনশনে বসেছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। পরে অনশন ভাঙার কথা বললে উপাচার্যকে ফেরত পাঠিয়ে দাবি আদায়ে অটল রয়েছেন তারা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিনসহ অন্যান্য সহকারী প্রক্টররা অনশনকারীদের সাথে বসে পড়েন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল