দ্রুত বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবুও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে স্বাভাবিক চেহারায় ফিরছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা। লকডাউন তোলার পর সদরে উপচে পড়ছেন মানুষ। ব্যাংক, অফিসপাড়া, শপিংমল, বিপনীবিতান, মাছবাজার ও কাঁচাবাজারে জনস্রোত। স্বাভাবিক সময়ের মতো চলছে যানবাহনও।
কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ। সামাজিক দূরত্ব না মেনে মাস্কবিহীন ঘুরাফেরা করছেন সাধারণ মানুষ। এতে বেড়েছ সংক্রমণের ঝুঁকি।
সূত্র জানায়, এ উপজেলায় নারী ও শিশুসহ এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৪৫জন করোনা রোগী। এদের মধ্যে ২৬জনই থানা পুলিশ সদস্য। সুন্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১৬জন।
সোমবার সরেজমনি ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের মতো উপজেলা সদরের বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। কেনাকাটা ও প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদনে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। করোনাকালে বাহিরে আসা এসব মানুষ তোয়াক্কাই করছেনা স্বাস্থ্যবিধির। অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক। তাদের কাছে উপেক্ষিত সামাজিক দূরত্ব। যানবাহনেও যাতায়াত করছেন গাদাগাদি করে।
স্বাস্থ্যবিধি না মানা মানুষজন বলছেন, লকডাউনে আটকে থাকা জরুরী কাজ সম্পাদনে এসছেন তারা। ভুলে পড়া হয়নি মাস্ক। আর চাইলেও এতো মানুষের ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না।
সচেতন মহল মনে করছেন, প্রয়োজনে আসতে বাঁধা নেই। তবে স্বাস্থ্যবিধি মা মানলে এর খেসারত আমাদের সবাইকেই দিতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কাল থেকে (৯ জুন) নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবো আমরা। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইন প্রয়োগ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল