ভয় আর বাধা উপক্ষো করে অবশেষে দেশে আসলেন মোট ৪৭ জন যাত্রী। সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ বিমানের (বিজি-২০২) ফ্লাইটটি ওই সকল যাত্রীদের নিয়ে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর মধ্যে ৪১ জন সিলেটে এবং ৬ জন একই ফ্লাইটে ঢাকায় গেছেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিআরটিসি বাসে করে তাদেরকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে নেয়া হবে দরগা গেইটস্থ হোটেল হলি গেইটে। প্রবাসীদের মধ্যে যারা ওই হোটেল থাকতে চাইবেন না তাদেরকে নেয়া হবে একই এলাকার হোটেল স্টার প্যাসিফিক নামের আরেকটি হোটেলে।
তবে হোটেলের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালিন সময়ে কেউ তাদের সাথে দেখা করতে পারবেন না। সেজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনার পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এদিকে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সোমবার সকাল থেকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল অবস্থান নেয়।
সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (কোভিড-১৯) শামমা লাবিবা অর্ণব বলেন, ওসমানী বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিআরটিসি বাস বিমানবন্দরে রয়েছে। বাসে করে তাদেরকে হোটেলে নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনার পর যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনেকেই দেশে আসার আগ্রহ হারিয়েছেন। যাত্রীরা যাতে হোটেলের বাইরে না যেতে পারেন এবং হোটেলে যাতে তাদের স্বজনরা প্রবেশ না করেন তা তদারকি করতে হোটেলগুলোর সামনে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সাথে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। বিমানের ফ্লাইটে করে সিলেটে এসেছেন ৪৭ জন যাত্রী। এর মধ্যে সিলেটে নামবেন ৪১ জন ও ঢাকায় চলে যাবেন আরও ৬ জন। সিলেটের যাত্রীদেরকে বিআরটিসি বাসে করে নিরাপত্তা দিয়ে হোটেলে নেয়া হবে।
ওসমানী বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহের প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জতিক বিমানবন্দরে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট আসে। সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২ জন, গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২ জন এবং ৩১ ডিসেম্বর ২৩৭ যাত্রী নিয়ে বিমানের তিনটি ফ্লাইট ওসমানী বিমানবন্দরে আসে। এই তিনদিন আসা যাত্রীদের মধ্যে যথাক্রমে ১৬৫, ১৪৪ ও ২০২ জন ছিলেন সিলেটের যাত্রী। বাকিরা ঢাকায় চলে যান।
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর আব্দুল্লাহ