সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের পুকাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টিকাকেন্দ্র। শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হবে করোনার গণটিকাদান কার্যক্রম। কিন্তু এ কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকেই আসতে থাকেন টিকা গ্রহণে আগ্রহী নারী ও পুরুষ। টিকাদান যখন শুরু হয়, তখন কেন্দ্রের বাইরে দীর্ঘ সারি!
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সিলেটে গণটিকাদান কার্যক্রমে এভাবেই গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। ২৫ বছর থেকে ঊর্ধ্ব বয়সী নানা শ্রেণি, পেশার মানুষ নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিচ্ছেন।
বেশ কয়েকটি টিকাদানকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি টিকাকেন্দ্রে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। কেন্দ্রগুলোর বাইরে টিকা গ্রহণে আগ্রহী মানুষেরা সারি বেঁধে দাঁড়াচ্ছেন। গণটিকা কার্যক্রম যেন মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ নিয়ে এসেছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলার ওই টিকাকেন্দ্রে আসা আরমান আলী নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘টিকা নিতে শুরু থেকেই আগ্রহ ছিল। কিন্তু কিভাবে যেন নিবন্ধন করতে হতো, টিকা নিতে সদরে যেতে হতো। আমাদের জন্য এগুলো একটু ঝামেলার। এখন একেবারে নিজের ইউনিয়নে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। তাই সকাল সকাল টিকা নিতে চলে এসেছি।’
শনিবার সকালে সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ রেড ক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে গণটিকাদানের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি সবাইকে টিকা গ্রহণের আহ্বান জানান।
হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রের বাইরে জাবেদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘সরকার গণহারে বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে, এটা খুব ভালো উদ্যোগ। এই উদ্যোগে সামিল হতে টিকা নিচ্ছি।’
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সিলেট জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৩৮১টি বুথে গণটিকাদান কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে মহানগরীতে ২৭টি ওয়ার্ডে তিনটি করে ৮১টি কেন্দ্র রয়েছে। অন্যদিকে জেলার ১৩টি উপজেলায় ১০০টি কেন্দ্রে তিনটি করে ৩০০টি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথে আজ ৩০০ জনকে টিকা প্রদানের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, প্রতিটি বুথে দুজন করে দুজন করে টিকাদানকর্মী ও তিনজন করে স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। আজ সিসিক এলাকায় লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২৪ হাজার ২০০ জন মানুষকে টিকা প্রদান করা। সাথে টিকা গ্রহণের জন্য স্পট রেজিস্ট্রেশনও চলছে।
জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়া সবাই টিকা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত