২০ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:৩৯

বিশ্বনাথে জমে উঠেছে ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

বিশ্বনাথে জমে উঠেছে ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা

সিলেটের বিশ্বনাথে জমে উঠেছে ৬ষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে উপজেলার খাজাঞ্চী ও লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদ। প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে লিগলি, রাস্তাঘাট, হাট-বাজার। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র বাইছে নির্বাচনী আমেজ। প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন নিজ নিজ এলাকা। নিজের পক্ষে ভোট টানতে, ভোটারদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ভোটারদের প্রত্যাশা, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হোক যোগ্য প্রার্থী।

আগামী ৩১ জানুয়ারী ৬ষ্ঠ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিশ্বনাথ উপজেলা দুই ইউনিয়নে মোট ১১ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে, ৯৫ জন সাধারণ সদস্য ও ২৫ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্বনাথের লামাকাজী ও খাজাঞ্চীসহ ৬ ইউপি নির্বাচন। নির্বাচনে মূল লড়াই ছিল উন্নয়ন বনাম বিএনপি প্রভাবশালী নেতা ইলিয়াস গুমের প্রতিবাদ। লড়াইয়ে লামাকাজী ইউনিয়নে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির কবির হোসেন ধলা মিয়া ৬০২৯ ভোট পেয়ে ৩য় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ডা. শাহনুর হোসেইন নৌকা প্রতীকে পান ৪৯৩২ ভোট।
খাজাঞ্চী ইউনিয়নে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির তালুকদার মো. গিয়াস উদ্দিন ৪৯২১ ভোট পেয়ে উপজেলার সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শংকর চন্দ্র ধর নৌকা প্রতীকে পান ৩৭৭৮ ভোট।

এবার ৩১ জানুয়ারি ওই দুই ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সঙ্গত কারণে, এবারের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট অনেকটাই ভিন্ন। বিএনপি দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিগত নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপির ওই দুই চেয়ারম্যান। তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে দুই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির আরও তিন নেতা। অন্যদিকে, দুই ইউনিয়নেই নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন দুই নতুন মুখ আরশ আলী গণি (খাজাঞ্চী) ও ফয়ছল আহমদ (লামাকাজি)। তাদের দলীয় কোনো কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীও নেই। বিগত নির্বাচনে নৌকা নিয়ে লড়াই করা শাহনুর-শংকর দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হলেও করেননি দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।

এছাড়াও এবারের নির্বাচনে উপজেলায় প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেয়া নিয়ে ভোটারদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ আবার অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান আধুনিক প্রক্রিয়ায় ভোট দিতে। কেউ কেউ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছেন ডিজিটাল ভোট কারচুপির প্রশ্নে। তবে, এমন আশঙ্কা উড়িয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম সরওয়ার বলেছেন, নির্দ্বিধায় যাতে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে  সেজন্য দুই দিন পূর্বে (২৯ জানুয়ারি) আয়োজন করা হয়েছে মক ভোটিংয়ের।  


বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর