৫ জুলাই, ২০২২ ১৯:১৭

বন্যায় ভাটা পড়েছে পশুর হাটে, সংকটে ব্যবসায়ীরা

সাইফুল ইসলাম বেগ, বিশ্বনাথ

বন্যায় ভাটা পড়েছে পশুর হাটে, সংকটে ব্যবসায়ীরা

বিশ্বনাথ পুরানবাজার পশুর হাট থেকে তোলা ছবি

আর কয়েকদিন পরেই কোরবানির ঈদ। সিলেটের বিশ্বনাথে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে পশুর হাট। উপজেলার হাটগুলো গরুতে ভরপুর। উঠেছে ছাগলও। কিন্তু ঈদকে ঘিরে এবার পশুর হাটে নেই চিরচেনা সেই আমেজ। বন্যার প্রভাবে ভাটা পড়েছে পশুর হাটে।

অন্যান্য বছর নির্ধারিত সময়ের আগে বেচাকেনা শুরু হলেও এবার তেমনটি হয়নি। হাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক গরু থাকলেও ক্রেতাদের সংখ্যা খুবই কম। এ অবস্থায় চরম সংকটে পড়েছে পশু ব্যবসায়ীরা। হতাশায় সময় কাটছে তাদের। বিশ্বনাথ পুরানবাজার, পীরের বাজার, রামপাশা, বৈরাগী, চৌধুরীবাজার, লামাকাজিসহ বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। অস্থায়ী পশুর হাটের অবস্থাও একই।

বিশ্বনাথ পুরানবাজারের পশু ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া বলেন, গেল বছর করোনায়, আর এবার বন্যায় গরু কেনাবেচা জমেনি। হাটে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। আমরা গরু বিক্রি হওয়া নিয়ে চিন্তিত। সারা বছর গরু লালন-পালন করি। ঈদে বিক্রি করে যা আয় হয়, তা দিয়ে বাকি বছর সংসার চলে আমার। এবার বন্যার কারণে চাহিদা মতো গরু আনতে পারিনি। যেগুলো আছে সেগুলোও যদি বিক্রি না করতে পারি, তাহলে সংসারে অচলাবস্থা দেখা দেবে আমাদের।

অন্যরা জানান, গেল দুই হাটে একটি গরুও বিক্রি করতে পারিনি আমরা। হাট ক্রেতা শূন্য। তবে এখনও আমরা আশাবাদী, ঈদের যে ক’দিন আছে, সে ক’দিনে হয়তো বিক্রি করতে পারবো। ঈদে বিক্রির আশায় বছরব্যাপী পশু পালন করে যদি বিক্রি না করতে পারি, তাহলে আমাদের ব্যবসায় ধস নামবে।

হাটে গরু দেখতে আসা ক্রেতা বাবুল মিয়া জানান, প্রতি বছর দুটি পশু কোরবানি দেই। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার একটি পশু কোরবানি দেওয়ার চিন্তা করেছি।

অনেকেই জানান, বন্যায় অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। অনেকেই এবার চাহিদা মতো কোরবানি দিচ্ছেন না। কেউ কেউ আবার কোরবানির টাকা, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন। মূলত বন্যার প্রভাবে এবারে কোরবানির পশু কেনাবেচা জমে ওঠেনি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর