সিলেটে পূর্ববিরোধের জেরে এক যুবককে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। এরপর তার বসতঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে গোয়াইনঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লাবু গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল কাদির (৪০) লাবু গ্রামের আবদুল খালিকের ছেলে।
ঘটনার পর থেকে শনিবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্তসহ ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত লাবু গ্রামের হাছান রেজার ছেলে লুৎফুর রহমান, একই গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে শাহীন, আবুল খায়েরের ছেলে বেলায়েত হোসেন, সোনা মিয়ার ছেলে কাজী কামাল, আবদুর রহমানের ছেলে আবদুন নূর, কুতুব উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন, আবদুস সোবহানের ছেলে হাবিবুল্লাহ মিছবাহ, আবদুস সালামের ছেলে অলিউল্লাহ, আব্বাস উদ্দিনের ছেলে আলী হোসেন ও আলম হোসেন।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে চার বছর ধরে সাবেক ইউপি সদস্য শামসুদ্দিনের লোকজনের সাথে আবদুল কাদিরের পরিবারের বিরোধ চলছিল। ওই হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন আবদুল কাদির। চারবছর আগের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সম্প্রতি উভয়পক্ষের মধ্যে ফের বিরোধ চাঙা হয়। এর জের ধরে গত শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালান। তখন আবদুল কাদিরকে কুপিয়ে খুন করা হয়। এরপর তার বসতঘরে আগুন দেওয়া হয়। হামলায় আবদুল কাদিরের পরিবারের কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হন।
ওসি কে এম নজরুল ইসলাম জানান, উভয়পক্ষের মধ্যে আগের একটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিরোধ চলছিল। ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলাও চলমান রয়েছে। এর জের ধরে আবদুল কাদিরকে খুন করে বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ