সিলেটে বন্ধুদের নিয়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার তাদেরকে আদালতে সোর্পদ করা হলে সাবেক স্বামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জৈন্তাপুর থানার ওসি আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুদ্দোজামান।
এর আগে রবিবার বিকেলে কৃষকের ছদ্মবেশে দরবস্ত বাজার থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ফান্দু গ্রামের মৃত আবদুল কালামের ছেলে আবদুল মুমিন (৩০) ও একই ইউনিয়নের করগ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে বদরুল ইসলাম (৩০)। অভিযুক্ত আরও একজন পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার দুপুরে এক নারী ও তাঁর ১২ বছর বয়সী ছেলে চিকিৎসার জন্য জৈন্তাপুরের দরবস্ত বাজারে যান। এসময় তার প্রাক্তন স্বামী আবদুল মুমিন জরুরি কথা আছে বলে ছেলেকে গাড়িতে তুলে তার নানাবাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে ওই নারীকে দরবস্ত ইউনিয়নের খড়িকাপুঞ্জি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত গরুর খামারে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান করছিলেন মুমিনের দুই বন্ধু। ওই নারীকে সেখানে শনিবার রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আটকে রেখে মুমিন ও তার দুই বন্ধু ধর্ষন করে ফেলে যায়। গভীর রাতে সেখান থেকে মুক্ত হয়ে ওই নারী তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। রবিবার তিনি জৈন্তাপুর থানায় অভিযোগ করেন।
জৈন্তাপুর থানার ওসি আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর থানপুলিশের একটি দল কৃষকের ছদ্মবেশে দরবস্ত বাজারে অভিযান চালিয়ে মুমিন ও বদরুলকে গ্রেফতার করেন। গতকাল সোমবার তাদেরকে আদালতে সোর্পদ করা হলে ওই নারীর প্রাক্তন স্বামী আবদুল মুমিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
আদালতের বরাত দিয়ে ওসি বদরুজ্জামান জানান, আদালতে প্রাক্তন স্বামী মুমিন ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে। সে কৌশলে তার প্রাক্তন স্ত্রীকে নির্জন জায়গায় নিয়ে দুইবন্ধুসহ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে মুমিন। মামলার অপর আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম