র্যাব ও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের পৃথক বিশেষ অভিযানে এক লাখ ২৯ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ ৪ পাচারকারি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রবিবার রাতে র্যাব ও সোমবার ভোরে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর এ অভিযান চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলার নিজামপুর রেদোয়ান ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে সাভারের বিপ্লব (৩২) ও কুমিল্লার সুমন মিয়াকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় একিট মাইক্রোবাসহ এক লাখ ২৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। চট্টগ্রাম থেকে এসব ইয়াবা নিয়ে তারা ঢাকার দিকে যাচ্ছিলো। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মিরসরাই থানায় মামলার জন্য প্রস্তুতি চলছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (মেট্রো) শামীম আহমেদ বলেন, সোমবার ভোরে নগরীর কোতোয়ালী থানার ফিরিঙ্গিবাজার ব্রিজ ঘাটা এলাকা থেকে এ অভিযানে ৫ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার রশিদ আহমদ (৬০) ও একই এলাকার ফরিদ আহমদ (৫২) দুই মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন কলোনীর ভিতরে মনছুরের আস্তানা থেকে আনা পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল ইয়াবা পাচারকারীরা। রেলওয়ের পরিত্যক্ত পুলিশ ব্যারেকে স্টেশন কলোনীতে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার ইয়াবাসহ মাদক বিকিকিন হচ্ছে। ইয়াবা সম্রাট ফারুক র্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহত হওয়ার পর ফাুরকের প্রধান সহযোগি মনছুর স্টেশন কলোনীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্পটে ছদ্ধবেশে নারী-পুরুষদের দিয়ে ইয়াবাসহ নিষিদ্ধ জিনিষপত্র আনা-নেয়া করে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। বর্তমানে মনছুরের নিজস্ব একটি গ্রুপ চট্টগ্রাম শহরে সক্রিয় থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করে আসছে। মনছুর জাল টাকার মেশিনসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। গ্রামের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে অঢেল সম্পদও। এ মাদক ব্যবসায়ীর সাথে রেলওয়ের কয়েকজন কর্মচারিও জড়িত আছে। যাদের নাম গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার