চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি মোড় এলাকায় প্রতিনিয়তই জটলা থাকে এক, দুই ও তিন নং সড়কের বাস। এসব বাস যাত্রী ওঠানোর আগ থেকেই শুরু করে প্রতিযোগিতা। সড়কেই এলোপাতাড়ি দাঁড় করে রাখে গাড়ি। চলে অসম প্রতিযোগিতা। ঘটছে দুর্ঘটনা। চট্টগ্রাম নগরের প্রায় প্রতিটি সড়ক ও মোড়ে এমন চিত্র নিত্যদিনের।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম কার্যালয়ের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিনিয়তই অভিযান পরিচালনা করছেন। তবুও থামছে না সড়কের বিশৃঙ্খলা। বাড়ছে দুর্ঘটনা। চেতনা ফিরছে না চালকদের মধ্যে। করেই চলেছে অনিয়মিত ওভারটেকিং, চলন্ত অবস্থায় মোবাইলে কথা বলাসহ নানা অনিয়ম।
বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক মীর বলেন, ‘কেবল অভিযানের মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না। এর জন্য প্রয়োজন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ, যাত্রী, চালক ও মালিকের সমন্বিত প্রয়াস। আমরা আইনগত বিষয়টা দেখভাল করি। আজও সড়কের মাঝখানে যাত্রী ওঠানামা করায় ১০টি বাসকে জরিমানা করি। কিন্তু তাতে সড়কে শতভাগ শৃঙ্খলা ফিরবে বলে মনে হয় না। প্রয়োজন সব পক্ষের সচেতনতা, সঙ্গে আইন মানার মানসিকতা লালন করা।’
বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম মনজুরুল হক বলেন, ‘মালিক যদি গাড়ি ফিটনেস না রাখেন, চালক যদি লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালায়, অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক যদি গাড়ি চালানোর সুযোগ পাই, তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে কি করে? যখনই অভিযান পরিচালিত হয় তখনই এসব অনিয়ম দেখা যায়। তাই অভিযানের পাশাপাশি সবাইকে অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার