১৪ জানুয়ারি, ২০২০ ২২:২৬

আড়াই মাস ধরে ‘শূন্য’ চেয়ারম্যান পদ!

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

আড়াই মাস ধরে ‘শূন্য’ চেয়ারম্যান পদ!

দীর্ঘ আড়াই মাস ধরেই শূন্য আছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদটি। বোর্ডের সচিবকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার পর থেকেই রুটিন কাজ ছাড়া উল্লেখযোগ্য তেমন কোন কাজ করতে পারছেন না। 

বোর্ড চেয়ারম্যান না থাকায় এক প্রকার বোর্ডের কাজ-কর্মে নানাভাবে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। তাছাড়া এই পদে আসতে পদ-প্রত্যাশীরা লবিং-তদবিরও শুরু করেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।  

সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদের জন্য নানাভাবে সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে লবিং-তদবির শুরু করেছেন প্রত্যাশীরা। নানা কৌশলে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারও করছেন তারা। এখানে আলোচনায় এসেছেন চট্টগ্রাম বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশ ক’জন অধ্যক্ষ-অধ্যাপকরাও। প্রত্যেকেই চেয়ারম্যান হতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, কমিউনিষ্ট এবং জামায়াত সমর্থিত হলেও সবাই আওয়ামী লীগের ‘বোরকা’ পড়েই চেয়ারম্যান হতে চেষ্টা করছেন। নিজেদের যোগ্যতার বিষয়গুলোও তুলে ধরছেন নানাভাবে। সবমিলে গুঞ্জন ও আতংকের মধ্যেই এখনও অনিশ্চিত কে হচ্ছেন সেই শিক্ষা বোর্ডের আলোচিত চেয়ারম্যান।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে আসতে বা স্থান পেতে আলোচনায় আছেন শিক্ষাবোর্ডের বর্তমান সচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল আলীম, শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মো. জাহেদুল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক প্রদীপ চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর স্বপন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুজিবুল হক চৌধুরী, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাইন উদ্দিন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল করিম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন চক্রবর্তী। আলোচনায় থাকা সকলেই আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও কমিউনিষ্ট সর্মথিতসহ বিভিন্ন মতার্দশের অধ্যক্ষ-অধ্যাপক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক ও বর্তমান একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি বলেন, চেয়ারম্যান পদে আসতে লবিং-তদবিরকারীদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক মতার্দশের। বর্তমানে সবাই আওয়ামীলীগার হয়ে গেছে। প্রত্যেকেই বিভিন্ন যোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছেন। আলোচনায় আছেন বিএনপি, জামায়াত ও কমিউনিষ্ট সর্মথিত শিক্ষকও।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মো. জাহেদুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটা নিয়ে অনেকেই তদবির করছেন শুনেছি। তাছাড়া অনেকেই আমার সিনিয়র আছেন। আমি কোন তদবিরও করছি না। তবে কে হচ্ছেন সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না এখনও।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সর্বশেষ দায়িত্বপালনকারী চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহেদা ইসলাম গত ১৯ নভেম্বর শিক্ষাবোর্ড থেকে বিদায় নিলেও ২১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরে (পিআরএল) যান। অবসরে যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে আছেন বোর্ডের বর্তমান সচিব প্রফেসর আবদুল আলীম।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর