চট্টগ্রামের একুশে বইমেলা প্রাঙ্গন। কেউ বই কিনছেন, কেউ দেখছেন, কেউ প্রিয় বই বাচাই করছেন, কেউ বা প্রাণের বইমেলায় নিজের প্রিয় বইয়ের খোঁজে আছেন। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম চত্বরের সম্মিলিত একুশে বইমেলায় এমনই দৃষ্টিনন্দন ছিল পরিবেশ। যেন দিনটিই হয়ে ওঠে ভাষার, বর্ণের, বইয়ের।
শুক্রবার ছিল মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মেলা শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে। সকাল থেকেই মেলায় আসতে শুরু করেন প্রকাশক, লেখক ও পাঠক। বইমেলা পরিণত হয় প্রাণের মেলায়। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সমাগম ছিল লক্ষণীয় মাত্রায়। শিশুরাও এসেছে বাবার সঙ্গে। ছিল উপচে পড়া ভিড়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সৃৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিতব্য মেলায় চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত হবে ছয় শতাধিক বই। এবারের মেলায় ঢাকার ১১৮টি ও চট্টগ্রামের ৪০টি প্রকাশককের ২০৫টি স্টল রয়েছে। মেলা চলবে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আপন আলো প্রকাশনের শামসুদ্দিন শিশির বলেন, ‘ভাষার দিন হিসাবে মেলা খুব জমে ওঠেছে। সকাল থেকেই ক্রেতা দর্শকের মেলায় সমাগম হতে শুরু হয়। অনেকেই প্রিয় বইটি সংগ্রহ করেছেন।’
প্রজ্ঞালোক প্রকাশনের প্রকাশক রেহানা চৌধুরী বলেন, ‘বন্ধের দিন হিসাবে অনেকেই বইমেলায় এসেছেন। তাই আজ মেলা খুব জমেছে।’
চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘বন্ধের দিন হিসাবে বইমেলায় প্রচুর সংখ্যক দর্শক সমাগম হয়েছে। এবার মেলাকে সমৃদ্ধ, বর্ণিল, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং জাতীয় মানের করতে আমরা সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তাই দর্শকদের কাছে তা গ্রহণযোগ্যও হয়েছে।’
জানা যায়, স্বাধীনতার প্রায় পাঁচ দশক পার করলেও ঢাকার বাংলা একাডেমির আদলে চট্টগ্রামে পরিপূর্ণ কোনো বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর নগরের পৃথক পৃথক স্থানে বইমেলার আয়োজন করা হলেও সেগুলো পূর্ণতা পেত না। প্রতিটি মেলাই ছিল প্রায় লেখক, পাঠক ও দর্শক শূন্য। গত বছর প্রথমবারের মত চসিকের উদ্যোগ ও সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সহযোগিতায় বড় পরিসরে মেলা আয়োজনের সুচনা করে। প্রথম বছরই মেলায় পাঠক-দর্শকের আশানুরূপ সাড়া মিলে। এ বছরও নব উদ্যোমে বই মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার