নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য প্রয়োজন অতিরিক্ত কিনে খুচরা ক্রেতারা মজুদ করায় পণ্যের বাজার আবারও অস্থির হয়ে ওঠেছে। বাজারে চাল এবং পিয়াজের দাম অতিরিক্ত হারে বেড়ে গেছে। শুক্রবার সাধারণত পাইকারি বাজার বন্ধ থাকলেও খুচরা বাজার খোলা থাকে। ফলে শুক্র ও শনিবার দুদিন বাজারে বৃহস্পতিবারের তুলনায় পিয়াজ কেজিপ্রতি ৩০ টাকা এবং চালে কেজিপ্রতি প্রকার ভেদে ৬ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে। করোনার অজুহাতে খুচরা ব্যবসায়ী থেকে আতড়দার সবাই সিন্ডিকেট করে পিয়াজের বাজার আবারও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ বাজার মনিটরিং কমিটির গাফেলতিতে করোনা আতঙ্ককে কাজে লাগাচ্ছে এই সিন্ডিকেট।
নগরের খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে কয়েকদিন ধরে পিয়াজের দাম কমতির দিকে থাকলেও করোনার আতঙ্কে এখন সেটা আবার অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খুচরা বাজারে ভাল মানের পিয়াজের দাম ছিল কেজি ৫০ টাকা। কিন্তু রাত পোহাতেই শুক্রবার সকাল থেকে সেই একই পিয়াজের দাম হয়ে গেল ৮০ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলী পাইকারি বাজারে দেশি পিয়াজ কেজিপ্রতি ২০ টাকা থেকে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। পাকিস্তানি পিয়াজও ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায়, মিসরের পিয়াজ কেজিপ্রতি ১৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, হল্যান্ডের পিয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই একই পিয়াজ কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় খুচরা দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে।
চালের আড়ৎদার ওমর আজম বলেন, নগরীর মানুষের মনের মধ্যে আতঙ্ক ঢুকে গেছে। বর্ডার বন্ধ হয়ে যাবে, মাল ঢুকবে না, দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাবে- এমন আতঙ্কে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস কেনার কারণে বাজারে বাড়তি চাপ পড়ছে, যার জন্য দামটা বেড়ে যাচ্ছে। আর এই আতঙ্ক কাজে লাগাচ্ছে কোনো কোনো অসাধু সিন্ডিকেট।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/ফারুক তাহের