চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ১০০ শয্যা নিয়ে চালু হলো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় পৃথক ইউনিট। বৃহস্পতিবার দুপুরে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। প্রথম দিনে করোনা ইউনিটে তিনজন রোগী ভর্তি হন। করোনা ইউনিটে রোগীদের ডায়ালাইসিস ব্যবস্থাসহ ১০টি আইসিইউ শয্যাও আছে।
জানা যায়, হাসপাতালের নিচতলায় জরুরি বিভাগের পার্শ্ববর্তী তিনটি ওয়ার্ড- ক্যাজুয়াল্টি, ফিজিক্যাল মেডিসিন এবং চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে হাসপাতালের মূল প্রবেশ পথ নিচতলার ন্যায্য মুল্যের ওষুধের দোকান থেকে জরুরি বিভাগ পর্যন্ত পুরো ব্লকটি করোনা ব্লক হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। নতুন নিয়োগ পাওয়া ৩০ জন চিকিৎসক ও ১৬৬ জন নার্স করোনা ইউনিটের রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন।
চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক আফতাবুল ইসলাম বলেন, ‘আগে থেকে চালু থাকা অবজারভেশন সেলে থাকা তিন রোগী দিয়ে করোনা ইউনিট চালু হয়েছে। নতুন করে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক-নার্সরা রোস্টার ডিউটি অনুযায়ী রোগীদের সেবা প্রদান করবেন। চিকিৎসকদের টিম করে দেওয়া হয়েছে। প্রথম টিম দশদিন করোনা ইউনিটে রোগীদের চিকিৎসা দিবেন। তারপর তারা ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারান্টিনে যাবেন। এর পর ৬ দিন তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকবেন। প্রথম টিম যাওয়ার পর দ্বিতীয় টিম করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিবে। এভাবেই করোনা ইউনিটে চিকিৎসক-নার্সরা সেবা প্রদান করবেন।’
জানা যায়, চট্টগ্রামে করোনা রোগী চাপ বাড়লে নতুন করে শয্যা প্রস্তুতের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতে সরকার গত ১৬ মে চমেকে সব ধরনের সাধারণ রোগীর চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখে করোনা রোগীর চিকিৎসায় অনুমোদন দেয়। এখন থেকে করোনা পজিটিভ রোগীরা চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে এক হাজার ৩১৩টি অনুমোদিত শয্যা আছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষদের জন্য সব ধরণের চিকিৎসায় এটিই একমাত্র ভরসা। তাই সাধারণ রোগীদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে এখানে ১০০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার