প্রবর্তক পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত অর্ধশত বছরের পুরনো সঙ্গীত ভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় হামলাকারীরা হারমোনিয়াম, তবলা, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। আজ শুক্রবার সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন প্রবর্তক মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে ৪০ থেকে ৫০ জন এসে সঙ্গীত ভবনে হামলা চালায়। তারা দা খুন্তি দিয়ে হারমোনিয়াম, তবলা, আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং ভবনের আশপাশ এলাকায় তাণ্ডব চালায়। এসময় দুর্বৃত্তদের উৎসাহ দিতে দেখা গেছে কয়েকজনকে। ১৯৬৬ সালে প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ প্রিয়দারঞ্জন ও বনবীথি সেনগুপ্তার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘সঙ্গীত ভবন’। প্রতিষ্ঠানটি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জন্য বিখ্যাত। এ প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক গুণী শিল্প বের হয়েছে।
সঙ্গীত ভবনের অধ্যক্ষ কাবেরী সেনগুপ্ত বলেন, প্রবর্তক সংঘের কাছে প্রথমে সরাসরি ভাড়া পরিশোধ করতো এ প্রতিষ্ঠান। তারা ভাড়া নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বর্তমানে আদালতের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করা হচ্ছে। বর্তমান ভবনটি সংস্কার করার চেষ্টা করা হলেও প্রবর্তক সংঘের লোকজন বাধা দেয়। বিষয়টা পুলিশকে জানানো হলে তারা উভয়কে শান্ত থাকতে বলে। কিন্তু সকালে দুর্বৃত্তরা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাঠ চালায় সঙ্গীত ভবনে।
প্রবর্তক সংঘ (বাংলাদেশ)’র সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী বলেন, কাবেরী সেনগুপ্তের বাবার সাথে প্রবর্তক সংঘের চুক্তি হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যদের আবার চুক্তি করতে বলা হয়েছিল। তারা বিষয়টা মানেনি। উল্টো জোরপূর্বক জায়গা দখলে রেখেছে। শুক্রবার তারা ভবনের দরজা জানালা মেরামত করতে গেলে কিছুটা সমস্যা হয়।
এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই সাদেকা আফরোজা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রবর্তক পাহাড়ের সঙ্গীত ভবন সংস্কার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। শুক্রবার সকালে ওই ভবনে ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক