চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। তবে এর বিপরীতে সংক্রমণের সংখ্যা কমেনি। বরং সংক্রমণ অব্যাহত আছে। প্রতিদিনই নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। গত আগস্ট মাসে দৈনিক গড়ে ৮৪ জনের মত নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। পক্ষান্তরে গত আগস্ট মাসে পৃথক ১০ দিন ছিল মৃত্যু শূন্য।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত আগস্ট মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু গত জুলাই মাসে মৃত্যু হয় ৫৮ জন, জুন মাসে মৃত্যু হয় ৯৮ জন, মে মাসে ৬৮ জন এবং এপ্রিল মাসে ৮ জন মারা যান। গত আগস্ট মাসে নতুন করে আক্রন্ত হয় দুই হাজার ৫৮৫ জন। প্রতিদিন গড়ে ৮৪ জনের মত আক্রান্ত হয়। গত সোমবার রাত পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা যান ২৭২ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে ১৮৯ জন এবং ১৫ উপজেলায় ৮৩ জন। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হয় ১৭ হাজার ১১০ জন। এর মধ্যে মহানগরে ১২ হাজার ১৯৮ জন এবং ১৫ উপজেলায় চার হাজার ৯১২ জন। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ হাজার ৭০৩ জন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘চট্টগ্রামে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও আক্রান্তের সংখ্যা কমেনি। প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৮৪ জনের চেয়ে বেশি নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। এ জন্য সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলাফেরা করতে হবে। কারণ মৃত্যু কমা মানে করোনা কমা নয়।’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) করোনা ল্যাবের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমদ বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ কমেনি। করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হলে পজেটিভ রিপোর্ট আসছে। কিন্তু অনেকেই এখন দৈনন্দিন জীবনাচারে স্বাভাবিকভাবে চলার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। সেটা ভুল ধারণা। তাই সবাইকে সচেতন হয়ে চলতে হবে।’
জানা যায়, চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ছয়টি ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে আছে বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি ইম্পেরিয়াল ও সেভরনে। এসব ল্যাবে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ পর্যন্ত নমুনা টেস্ট করা যায়। তবে এখন অনেক রোগীই উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরও নমুনা কম দিচ্ছে না। অনেকেই বাসায় থেকে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার