চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ বলেছেন, ‘উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীকে রক্ষায় কার্যকর প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেয়া হবে। তাছাড়া এ নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করা এখন প্রক্রিয়াধীন। হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু হ্যারিটেজ ঘোষণা করা হলে নদীর সামগ্রিক ক্ষেত্রের রক্ষায় একটা কর্তৃপক্ষ তৈরি হবে।’
শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে হালদা নদীকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণা বিষয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সুবোল বোস মনি, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।
হালদা নদী নিয়ে পৃথক দুটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. খলিলুর রহমান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ড. মনজুরুল কিবরিয়া।
এ সময়ে উপস্থিতি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মো. মোয়াজ্জম হোসাইন, মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহা নূরী, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রহুল আমীন, বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সায়েদুল আরেফিন, রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবীর সোহাগ, মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না মাহমুদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘হালদা নদী কেবল একটি নদী নয়। এটি জাতীয় সম্পদ। যেকোনো মূল্যে এ নদীকে রক্ষা করতে হবে। দেশের একক নদী হিসাবে এ নদীর যে গুরুত্ব এবং ঐতিহ্য আছে তা দেশের স্বার্থেই আমাদের রক্ষা করতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/ আবু জাফর