দেশের বর্তমান আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে সমুদ্রগামী জাহাজ ভাড়া বাবদ প্রচুর অর্থ বিদেশি জাহাজ মালিকরা নিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই পরিবহন ব্যয় অদূর ভবিষ্যতে ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) ২০১৯-২০ অর্থবছরে কর সমন্বয়ের পর নিট মুনাফা করেছে ৪১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ২৪ কোটি টাকা বেশি। তাই বিএসসি আবারো লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে।
৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে বিএসসি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে তিনি জানান, বিএসসির পরিচালনা আয় হয়েছে ২৭৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা, অন্যান্য খাত থেকে আয় হয়েছে ৪২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। মোট আয় ৩২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। মোট ব্যয় হয়েছে ২৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে পরিচালনা ব্যয় হয়েছে ১৭৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, প্রশাসনিক ও আর্থিক খাতের ব্যয় ৬৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট আয় ছিল ২২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, ব্যয় ১৮৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। নিট মুনাফা ছিল ১৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এ প্রতিষ্ঠানের মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক সমুদ্র পথে নিরাপদে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে দক্ষ শিপিং সেবা প্রদান করা। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে অত্র কর্পোরেশন দীর্ঘদিন যাবৎ আর্ন্তজাতিক সমুদ্র পথে জাহাজে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনপূর্বক জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। দেশের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানী তেল ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহনের মাধ্যমে জ্বালানী নিরাপত্তা ও খাদ্য নিরাপত্তায় সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে আসছে।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসসির পরিচালক শফিউল আলম, ড. পিযূষ দত্ত, প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফ, সচিব খালেদ মাহমুদ, মহাব্যবস্থাপক আশরাফুল আমিন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার