স্ত্রীর সাথে পরকীয়া রয়েছে এমন সন্দেহে বন্ধুকে খুন করেন মো. নেজাম ওরফে মিজান নামে এক ব্যক্তি। খুনের পর বন্ধু আজিজুল হকের জানাজা পড়ে লাশের হাত করে ক্ষমা চান। সর্বশেষ লাশ গুম করতে গর্তে পুঁতে ফেলা হয়। ট্রাক চালক আজিজুল হক হত্যা মামলার একমাত্র আসামি মিজানকে গ্রেফতার হওয়ার পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
পরে খুনের দায় স্বীকার করে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আঞ্জুমান আরার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরআগে শনিবার রাতে সন্দ্বীপ থেকে গ্রেফতার করা হয় মিজানকে।
রাঙ্গুনীয়া ও রাউজান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, দীর্ঘ এক মাসের নিরবিচ্ছিন্ন এবং নিবিড় তদন্তে আমর ক্লুলেস ঘটনাটির রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছি। ঘটনার মূল হোতা নেজামকে গ্রেফতার এবং তার তথ্য মতে ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, মিজানের স্ত্রীর সাথে আজিজুলের পরকীয়ার রয়েছে এমন সন্দেহে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা মত ২৫ মার্চ ট্রাকে করে বালু আনার নাম করে আজিজুলকে কৌশলে রাঙ্গামাটি জেলাধীন বেতবুনিয়া এলাকায় নিয়ে যায়। ভারি লোহা দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং ছুরিকাঘাতে হত্যা করে আজিজুলকে। ২৬ মার্চ রাতে তিনি লাশটিকে কাঁধে করে রাঙ্গুনিয়া থানাধীন চৌধুরী খিলস্থ নাজিম প্রফেসরের পাহাড়ের পাদদেশে একটি ডোবার সামনে নিয়ে আসেন। সেখানে মিজান একাই মৃতের জানাজা পড়েন এবং কবর দেয়ার জন্য গর্তে লাশটিকে গুম করেন। এরপর পালিয়ে যায় মিজান। শনিবার রাতে সন্দ্বীপ থেকে মিজানকে গ্রেফতারের পর এ খুনের রহস্য উম্মোচিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার