চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাস করা ৩৭০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
উপস্থিত পরিবেশ ছিলেন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী। অভিযানে ১৫০ জন পুলিশ, র্যাবের ১টি দল, ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম, অ্যাম্বুলেন্স ও ৬৫ জন শ্রমিক।
জানা যায়, ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিন দলে ভাগ হয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লিংক রোডের মহানগর অংশে অভিযান পরিচালনা করেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামনুন আহমেদ অনীক ও কাট্টলী সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইনামুল হাসান, হাটহাজারী অংশে অভিযান পরিচালনা করেন হাটহাজারীর সহকারি কমিশনার (ভূমি) শরীফ উল্ল্যাহ ও পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারি কমিশনার এহসান মুরাদ এবং লিংক রোডের সীতাকুণ্ড অংশে অভিযান পরিচালনা করেন সীতাকুণ্ডের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সদর সার্কেলের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাসুমা জান্নাত।
চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, অভিযানে ছিল প্রায় ৩০০ জনবল ও ৩টি এক্সেবেটর ব্যবহার করে ৩৭০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে বায়েজিদ লিংক রোডের মহানগর অংশে ১১০টি, সীতাকুণ্ড অংশে ৭০টি ও হাটহাজারী অংশে ১৯০টি। অধিকাংশ স্থাপনা টিনের তৈরি ঘর, কিছু সেমিপাকা এবং পাকা সীমানা দেয়াল উচ্ছেদ করা হয়।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট অংশ থেকে নগরীর বায়েজিদ পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটি নির্মাণে কাটা হয় প্রায় ১৮টি পাহাড়। পাহাড়গুলো খাড়াভাবে কাটায় সেগুলো ধসে বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রামে গত ৬ জুন প্রবল বর্ষণ হয়। এরপর গত বুধবার থেকে পাহাড় ধসের শঙ্কায় চট্টগ্রামের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডে যান চলাচল তিন মাসের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর লিংক রোডের অবৈধ বসতি ও স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে জেলা প্রশাসন। ২০১৬ সালের জুনে ১৭২ কোটি ৪৯ লাখ টাকায় এই লিংক রোডটি উদ্বোধন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার