উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীর নাজির হাট ব্রিজ থেকে কালুরঘাট ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার।
২০০৫ সালে সরকার এই ৪০ কিলোমিটার এলাকাকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। তবে বৃহস্পতিবার সরকারি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন ‘বর্ণিত এলাকায় মাছ শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ’ শীর্ষক একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মাদ রুহুল আমিন বলেন, ‘হালদা নদীর ৪০ কিলোমিটার এলাকা যে মাছের অভয়াশ্রম, বিষয়টি হালদা পাড়ের মানুষের জানা উচিত। তাই স্থানীয় জনগণকে জানাতে এবং সবাইকে সচেতন করতে নদী পাড়ে বড় আকারের একটি সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এখন সাইন বোর্ডটি চোখে পড়লে হয়তো কেউ আর সেখানে মাছ ধরবে না। সবাই সচেতন হবে। হালদার মাছও রক্ষা পাবে।
জানা যায়, গত আড়াইবছর ধরে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন হালদা নদীতে মা মাছ রক্ষা, অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, ইঞ্জিনচালিত বোট ও ঘেরা জাল বসানো বন্ধে নিয়মিত সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই মধ্যে হালদা নদীতে ১৭৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ১ লাখ ১৫ হাজার ঘনফুট বালু ও ৩ লাখ ৩ হাজার ৪০০ মিটার ঘেরা জাল জব্দ, ৫৩টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ৬টি ঘেরাজাল বসানোর নৌকা, ১৫টি ড্রেজার, হালদার মাটি কাটায় একটি ট্রাক্টর ও সাড়ে তিন কিলেমিটার পাইপ ধ্বংস করা হয়। জরিমানা করা হয় ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন