চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ক্ষুব্ধ হয়ে ফাতেমা বেগম নামে এক নারী কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে ও প্রতিবেশীসহ তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- ফাতেমার মেয়ে পাখি আক্তার (২০), প্রতিবেশী রাবেয়া বেগম (৩৫) ও বৃষ্টি (১০)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মো. এহসানকে আটক করেছে পুলিশ। এহসান ৬ নম্বর ওয়ার্ড মাইজ পাড়া এলাকার মো. ইব্রাহীম প্রকাশ বদর আমিনের ছেলে।
সোমবার (১২ জুলাই) উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নূর উদ্দীন সিকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফীউল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ফাতেমা বেগম নামের ওই নারী কবিরাজের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, সকালে বাঁশখালী থেকে চারজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় আনা হয়। এদের মধ্যে ফাতেমা আক্তার নামে একজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকিরা হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, কবিরাজ ফাতেমা বেগম থেকে এক বছর আগে এক মেয়েকে বশ করতে তাবিজ নেয় এহসান নামে ওই যুবক। তবে তাবিজ নেওয়ার পর উল্টো এহসানের শরীর খারাপ হতে থাকে। পরবর্তীতে সে আরও তাবিজ নিতে থাকে কবিরাজ থেকে। সোমবার সকালে একটি মন্ত্র পড়ানো ডাব খেতে দিলে ওই ডাব কাটার দা দিয়ে কুপিয়ে ওই নারী কবিরাজকে কোপায় এহসান। এসময় অন্যান্যরা উদ্ধারে এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত