চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চলে জমেছে পানি। সড়কে জমে থাকা পানি ঢুকেছে বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে। তদুপরি লকডাউনে ঘরে থাকা মানুষও এখন পানিবন্দি। বের হলেও মুখোমুখি হতে হচ্ছে কষ্টের। ফলে বেড়েছে দুর্ভোগ, ভোগান্তি। শ্রাবণের টানা বর্ষণে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
পতেঙ্গার আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কমতে পারে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জল কান্তি পাল বলেন, টানা বর্ষণের কারণে পাহাড়ধসের শঙ্কা রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কা থাকায় সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। সাগরে থাকা সব নৌযানকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরের অনেক নিম্নাঞ্চলে এখন পানির নিচে। এর মধ্যে হালিশহর, বাকলিয়া, মুরাদপুর, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, কাপাসগোলা, হামজারবাগ, অক্সিজেন, বহদ্দারহাট, চকবাজার, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, আগ্রাবাদ সিডিএসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
হালিশহর এলাকার বাসিন্দা তাফহিম আলম বলেন, বিশেষ প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হলাম। কিন্তু লকডাউনের কারণে সড়কে নেই কোনো যানবাহন। সড়কে পানি থাকার কারণে হেঁটে গন্তব্যে যাব সেই সুযোগও নেই। এক দুর্বিষহ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার