চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম কার্যালয়ে দালাল বিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে আটক করেছে র্যাব ৭। এর মধ্যে চমেক হাসপাতাল থেকে ৭ জন ও বিআরটিএ থেকে ২১ জনকে আটক করা হয়। রবিাবর দুপুর ১২টার পর একযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটকদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল ও জরিমানা করা হয়। অভিযানে সহায়তা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযোগ আছে, বিআরটিএর দালাল হিসেবে পরিচিত এসব ব্যক্তি যানবাহনের লাইসেন্স তৈরি থেকে শুরু করে সব ধরনের নবায়ন কাজ গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ন্ত্রণ করে। একইভাবে চমেক হাসপাতালের দালালরা রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ আছে।
র্যাব ৭ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বলেন, বিআরটিএ চট্টগ্রাম কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ৩২ জনকে দালাল সন্দেহে আটক করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই শেষে ২১ জনের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ায় তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি করে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই দিন চমেক হাসপাতাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭ দালালকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুইজনকে অর্থদণ্ড ও ৫ জনকে জেল দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন নাদির বলেন, বিএরটিএ অফিসে অবস্থান করে অবৈধভাবে লেনদেন করার সময় হাতেনাতে ২০ জনকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন মেয়াদে তাদের সাজা দেওয়া হয়। আটককৃতদের ছবি সংরক্ষণ করা আছে এবং মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। তারা আবারও এই কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার