চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেছেন, জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নে টিম জেনারেল হাসপাতাল অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় কোভিডকালীন সারাদেশে চিকিৎসাসেবার দিক থেকে এ হাসপাতাল একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। সরকারের আন্তরিকতায় নিয়মিত টিকা, গণটিকা ও বুস্টার ডোজ প্রদানের কারণে কোভিড সংক্রমণ এখন শূন্যের কোটায়। সরকারি অন্যান্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সংযুক্তিতে এখানে ডাক্তার-নার্স-কর্মচারি এনে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে কোভিড টিকা প্রদানসহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, আউটডোর ও ইনডোর রোগীদের কাঙ্খিত সেবা দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-টিআইবি’র ‘কোভিড-১৯টিকা প্রদানে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও সনাক-টিআইবি চট্টগ্রাম মহানগর যৌথভাবে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে সভার আয়োজন করে।
টিআইবি চট্টগ্রাম মহানগর এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাক-টিআইবি’র সদস্য প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার। রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মোস্তফা জামাল, কনসালট্যান্ট (গাইনী) ডা. রওশন আরা বেগম, সনাক-টিআইবি’র সহ-সভাপতি রওশন আরা চৌধুরী ও টিআইবি’র ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর মো. জসিম উদ্দিন। সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট ও কর্তৃপক্ষের করণীয় বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন সনাক-টিআইবি’র সদস্য অধ্যাপক সঞ্জয় বিশ্বাস। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ শওকত আল-আমিন ওসমানী ও সিনিয়র স্টাফ নার্স মঞ্জু রানী দাশ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএম