সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করার মামলায় মো. রকিবুল হাসান নামের এক যুবককে পৃথক ধারায় সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। রকিবুল হাসান (২২) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোদালা কাটা সরকার বাড়ির মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। তার ছদ্মনাম সালাহ উদ্দিন আয়ুবী, আবু তাছিব আল বাঙালী ও হাসান। চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে গত চার বছর আগে ১০টি তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
এ মামলায় মঙ্গলবার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিম এই রায় দেন বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মনোরঞ্জন দাশ। তিনি বলেন, উক্ত মামলায় ৬ পুলিশ সদস্য ও ভবন মালিকসহ ৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সন্ত্রাস দমন আইনের ৬ এর ২ ধারায় ৫ বছর ও ৮ ধারায় ৬ মাস কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। কারাদন্ড দুইটা একসঙ্গে চলবে কিনা পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে জানা যাবে।
আদালত সূত্রে আরো জানা গেছে, একটি নিখোঁজ ডায়েরির সূত্র ধরে চট্টগ্রাম নগর ডিবি পুলিশ আবদুল্লাহকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, সে নেত্রকোনার কমলাকান্দায় অবস্থান করছেন। পরে পুলিশ আবদুল্লাহর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অন্য কয়েকটি নম্বর পায়। সেই সূত্র ধরেই অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে কর্মকর্তারা কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তির তৎপরতা শনাক্ত করতে সক্ষম হন। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি রাতে সদরঘাট থানার শুভপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি ভবনের পঞ্চম তলায় সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত হয় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। বাসায় তল্লাশি করে ১০টি তাজা গ্রেনেড, দুটি সুইসাইড ভেস্ট, দুটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দুটি হাতে আঁকা মানচিত্র পাওয়া গেছে, যার একটিতে সদরঘাট থানা এবং অন্যটিতে সদরঘাট থানার আশপাশের এলাকাসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার তথ্য উল্লেখ রয়েছে। গ্রেপ্তার জঙ্গির বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় একটি মামলা করেছিলেন তৎকালীন নগর পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্য পুলিশ পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া। এক আসামি ছোট হওয়ায় শিশু আইনে মামলাটি চলমান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম