শনিবার বিকেলে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে কন্টেইনার লোড করতে যান নোয়াখালীর সোনাপুর এলাকার লরি চালক মোহাম্মদ সুমন। রাতে আগুন লাগলে ডিপো থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন সুমন। কিন্তু গাড়ি ও কন্টেইনার রক্ষা করতে গিয়েই ডিপো থেকে বের হতে সময় নেন সুমন। এতেই ভয়াবহ রাসায়নিক বিষ্ফোরণে অন্যদের মত তাকেও মৃত্যুকে বরণ করতে হয়।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কথা হয় সুমনের ছোট ভাই মো নোমানের সাথে। তিনি বলেন, ‘রাত দশটার দিকে আমার বড় ভাই ফোনে বলে ডিপোতে আগুন লেগেছে। তবে বিপদের সম্ভাবনা নেই। গাড়ি ও কন্টেইনার নিয়ে ডিপো থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছি। টেনশন করিস না। ডিপো থেকে বের হয়েই বাসা ফিরবো। রাত ১১টার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পায়। সকালে ডিপোতে গিয়ে না পেয়ে হাসপাতালে চলে আছি। এরপর তার লাশ সনাক্ত করি।’
সুমনের আরেক ছোট ভাই মামুন বলেন, ‘সুমনের ঘরে দেড় বছর এবং সাত বছরের দুইটা সন্তান রয়েছে। তারা অকালে পিতাকে হারালো। নিষ্পাপ দুই শিশুকে এখন কি বলে সান্তনা দেব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল